টীম NRB এর ডে লং ট্যুরের গল্প । নিউ শালবন বিহার । বাইকবিডি
This page was last updated on 03-Aug-2024 03:53pm , By Ashik Mahmud Bangla
টীম NRB এর ডে লং ট্যুরের গল্প । নিউ শালবন বিহার ।
প্রতিবারের মতো এই মাসের প্রথম শুক্রবার টীম Night Riders Bangladesh আয়োজন করেছিলো ডে লং ট্যুরের। এবারের গন্তব্য ছিলো নিউ শালবন বিহার। এই ট্যুরে জনপ্রতি খরচ হয়েছিলো মাত্র ৩৭০ টাকা। যেহেতু হাইওয়ে ট্যুর তাই প্রতিবারের মতো এবারও ফুলফেস হেলমেট, জুতা ব্যবহার করা ছিলো রাইডারের জন্য বাধ্যতামূলক।
ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ ছিলো আমাদের সেই অপেক্ষার দিন, কারন কয়েক মাস পর সবাই একসাথে ট্যুরে যাবো। বাইকাররা খুব ভালোভাবে জানেন সব বাইকাররা মিলে ভ্রমনে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আমাদের সাথে যারা ট্যুরে যান তারা সবাই জানেন আমাদের ট্যুরের লিডে থাকেন রনি ভুইয়া ভাই। এবারো তিনি আমাদের সবার প্রথমে থেকে আমাদেরকে লিড দিবেন।
Also Read: ডে লং ট্যুর যা কিনা সকালে রওনা দিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসা যায়
ট্যুরের দিন সকাল ৭ টায় সবাই জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আসতে শুরু করলো। যদিও প্রতিবারের মতো এবারও আমার যেতে দেরী হয়ে গেলো।সবাই আসার পর বাইকের কাগজপত্র চেক শেষে সকাল ৮ টায় আমরা রওনা দিলাম নিউ শালবন বিহারের উদ্দেশ্যে।
সংসদ ভবনের সামনে থেকে নিউমার্কেট সড়ক ধরে আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের দিকে। এই রাস্তা ধরে আমরা এগিয়ে যাবো সামনের দিকে। আমাদের বাইক ছিলো মোট ১২ টা এবং আমরা ১৮ জন। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে বাইক প্রতি ১০ টাকা টোল দিয়ে আমাদের মোট খরচ হলো ১২০ টাকা।এখান থেকে আমাদের গন্তব্য মেঘনা ব্রিজ। সবাই নিরাপদ গতিতে ছুটে চলেছি সামনের দিকে।
যেহেতু শুক্রবার এবং এই সময়টায় সবাই পিকনিকি যায় রাস্তায় বেশ জ্যাম ছিলো। সবাই একসাথে এগিয়ে যাচ্ছি সামনের দিকে। চলে আসলাম মেঘনা সেতুতে। মেঘনা ব্রিজে আমাদের টোল দিতে হয়েছিলো ১৮০ টাকা, বাইক প্রতি টোল ১৫ টাকা। টোল দেয়া শেষে সবাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম আর সবাই এসেছে কিনা সেটাও এরকবার চেক করে নিলাম।
এরপর আমরা সকালের নাস্তা করার জন্য থামলাম মেঘনা ভিলেজে। জায়গাটা বেশ সুন্দর আপনারা যারা এদিক দিয়ে যাবেন এখানে নাস্তা করতে পারেন। নাস্তার মান ভালো বলা যায়। তবে ভিড় থাকলে নাস্তা পেতে কিছুটা দেরী হয়। সকালের নাস্তায় আমাদের খরচ হয়েছিলো ১২৬০ টাকা জনপ্রতি ৭০ টাকা। যেহেতু লোকেশনটা সুন্দর তাই নাস্তা শেষ করে সবাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম।
বিশ্রাম শেষ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কুমিল্লা নিউ শালবন বিহারের দিকে। এবার রাস্তা কিছুটা ফাকা পাওয়া গেলো। তাই আমাদের খুব বেশি সময় লাগলো না। কুমিল্লা শালবন বিহার থেকে ১৫ কি.মি আগে আমরা একটা চা এর বিরতি নিয়ে নিলাম। চা নাস্তায় আমাদের খরচ হলো ২৮০ টাকা। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে আমাদের সাথে বাইকার ভায়েরা যুক্ত হলেন। তাদের নিয়ে এগিয়ে গেলাম শালবন বিহারের দিকে। শালবন বিহারে ঢুকার কিছুটা আগে একটা পরিবহন শুরু করলো সমস্যা।যাই হউক সাথে বাইক বেশি থাকায় পরিবহণ ড্রাইভার নিজের ভুল মেনে নিলো। কিন্তু কোন বাইকার যদি একা থাকতেন তাহলে হয়তো কিছুটা সমস্যা হতো। যারা হাইওয়েতে রাইড করেন সব সময় চেষ্টা করুন গ্রুপ রাইড করতে। শালবন বিহারে গিয়ে প্রচুর ভিড় থাকায় আমরা কিছুটা পিছনে এসে নিউ শালবন বিহার নতুন মন্দিরের সামনে বাইক রাখলাম। বাইক রেখে সবার জন্য টিকট করে নিলাম।
এরপর সবাই যার যার মতো আশেপাশের জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে লাগলো। জুম্মার নামাজের পর আমরা আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দুপুর হওয়ার কারনে রাস্তা বেশ ফাকা। তাই আমরা একটানে গজারিয়া চলে আসলাম এবং হাইওয়ের পাশে থাকা একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।দুপুরের খাবারে আমাদের খরচ হয়েছিলো ৩৬৬০ টাকা। খাবার শেষ করে আমরা ঢাকার দিকে ফিরতে থাকলাম। বিকালের মধ্যে সবাই আমরা ভালোমত ঢাকায় চলে আসলাম।
শালবন বিহার ট্যুরে আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছিলো ৩৭০ টাকা। তবে যার যার বাইকের তেল খরচ আলাদা। যারা একদিনের মধ্যে ছোট্ট কোন ডে লং ট্যুরে যেতে চান তারা ঘুরে আসতে পারেন। তবে এই হাইওয়েতে সব সময় একটু বেশি সতর্ক থাকুন কারন এই দিকে রাস্তা ভালো হওয়ার কারনে সব যানবাহনের গতি থাকে অনেক বেশি।