ঘুরে এলাম নাটোর (Uttara Gonobhaban) থেকে। ৪৫০ কিলোমিটার UP-Down
This page was last updated on 06-Jul-2024 09:45am , By Shuvo Bangla
৫ দিনের হরতাল, মিড টার্ম শেষ বাসায় বসে থাকা ছাড়া কোনো কাজ নাই। আমি, আমার কাজিন জিসান, আর শিবলী মামা তিনজন ঠিক করলাম ঘুরতে যাব। একে তো ঘোরা, তাও আবার হরতাল! প্লান যেহেতু আমার তাই ভরসা দিলাম রাস্তা ফাকা থাকবে কোনো সমস্যা নাই।
ঘুরে এলাম নাটোর থেকে
যাত্রার দিন ঠিক হলো মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর ২০১৩ আর যাত্রা পথ নাটোরের উত্তরা গণভবন। ছোট বেলা থেকে নাটোরের কাচাগোল্লা আর চলন বিল এর কথা শুনে ইচ্ছা ছিল ঘুরতে যাওয়ার। যাত্রা পথ গুগল মাপ অনুসারে ২০৫ কিলোমিটার। আগেই বলে নেই আমি ২০১১ মডেল এর CBZ Xtreme চালাই। আমি CBZ কিনেছিলাম হাইওয়ে তে রাইড দেয়ার জন্য।
যাত্রার প্রস্তুতি: নভেম্বর মাস, শীত আসি আসি করছে। চমত্কার আবহাওয়া, হালকা ঠান্ডা বাতাস, রোদ এর তাপটা খুব বেশী নেই। সবাই হাই নেক উইন্ড ব্রেকার, জুতা, হেলমেট, রাইডিং হ্যান্ড গ্লাভস পরার সিদ্ধান্ত নিলাম। ব্যাকপ্যাক নিলাম হালকা পোশাক, পানির বোতল বহন করার জন্য। যাত্রার আগের দিন টায়ারের এয়ার প্রেসার চেক করে নিলাম। আমি বেশিভাগ সময় একা রাইড করি আর কমফোরট্যাবল রাইড দিতে পছন্দ করি সামনের চাকা তে ২৫ আর পেছনে ৩৫ হাওয়া দিলাম। মবিল চেঞ্জ করলাম Hero 4T 10W30।
যাত্রা: রাত এ মামার বাসায় তিনজন ছিলাম। ঘুম থেকে উটলাম ভোর ৬টায়। ফ্রেশ হয়ে বাসা থেকে বের হলাম ৬:৪৫ এ। মিরপুর রোড এ ঢুকতেই পুলিশ চেক পোস্ট, আমাদের দেরী না করে দ্রুত শরীর চেক করে ছেড়ে দিল। সকাল ৭ তা তেল নিলাম ফুল ট্যানক হোটেল রূপসী বাংলার অপজিটে BP (মেঘনা) থেকে।
যাত্রা শুরু করলাম ঢাকা ছাড়ার উদ্দেশে গতি রাখলাম ৫০-৬০ গাবতলীতে আবার পুলিশ চেক পোস্ট। ফরমালিটিস করে সভার স্মৃতি সৌধের দিকে যেতে থাকলাম গতি এখন ৭০ kmph। নাস্তা করলাম সকাল ০৭:৫০ এ। ৮:১৫ তে যাত্রা শুরু আবার। এবার আমরা ৮০kmph চালানো শুরু করলাম।
সভার EPZ এ গার্মেন্টস কর্মীরা ভাংচুর করতে পারে এই আশংকায় আমার পূর্ব নিধারিত কালিয়াকৈর এর বাইপাস ব্যবহার করলাম যেটা কিনা টাঙ্গাইল এর সাথে মিলে। যমুনা ব্রিজ এর আগে এলেঙ্গা রিসোর্টে ১০:১৫ এ কফি বিরতি দিলাম। একটু ফ্রেশ হোয়ে ১০:৪৫ এ রওনা দিলাম।
পথে অনেক CNG আর বাজার ছিল যা আমদের স্পিড বারবার কমিয়ে দিচ্চিল।"হরতাল" এর কোনো রেশ পাই নি রাস্তায় ৭০-৮০kmph এ চালিয়ে যমুনা সেতু পার হয়ে Food Village এ পৌছালাম ১১:৩০ এ। পানি কিনলাম আর Soft drinks খেলাম সূর্য তখন মাথার উপর, রাস্তা পুরা ফাকা। আমরা ঠিক করেছিলাম ৮০ এর উপরে স্পিড উঠাবনা তাই চালাতে থাকলাম নির্ধারিত স্পিড এ।
ঢাকা - সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে তে কোনো সমস্যা ফেস না করে চালাতে থাকলাম। রাস্তার ব্যবহার কত ভাবে মানুষ করতে পারে এই টুর না দিলে জানতাম না! ঢাকা - রাজশাহী হাইওয়েতে অনেক সময় পর মানুষ দেখলাম, তারা ব্যস্ত রাস্তায় ধান সুখাতে আর ধান ভাঙ্গতে। হরতাল এর আলামত দেখতে পেলাম এই রাস্তায়, কিছু দূর পর পর আগুন দিয়ে তুরে পড়ানোর চিন্হ, আর ইট দিয়ে ব্লক এর চেষ্টা।
নাটোর হাইওয়ে তে কিছু লোকের জমায়েত দেখে থেমে গেলাম ১/২ কিলো আগে। কিছুককন দাড়িয়ে থেকে বুজলাম এর র কেউ নয়, কিছু ছেলে ক্রিকেট খ্লেছে র উত্সাহী জনতা তা দেখার জন্য ভির করেছে। নাটোর এর "উত্তরা গণ ভবন" পৌছালাম দুপুর ০১:০০ টার দিকে।
মধ্য বিরতি: “উত্তরা গণ ভবন” হলো রাজার বাড়ি বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে সরকারী কার্যালয় হিসেবে। টিকিট কিনলাম ১০ টাকা দিয়ে। গেটের দারওয়ান বলল মোটরসাইকেল বাইরে রাখতে। হরতাল এর সময় বাইরে রাখাটা ঠিক হবে না দেখে কর্মচারী দের রিকোয়েস্ট করলাম ভিতরে রাখার ব্যবস্থা করতে, বললাম আমরা ঢাকা থেকে এসেছি।
মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি শুনে সবার চোখ কপালে উঠলো! ভিতরে বাইক রেখে ঘুরে দেখতে লাগলাম, কিছু ছবি তুললাম। একানে আসার আগেই শুনেছিলাম রাজার বাড়ির এর বিশাল দিঘি আসে, যা দেখতে খুব এ সুন্দর। দিগির ফটকে প্রবেশ করতেই বিধি বাম! একানে প্রবেশ করতে নাকি DC'র পারমিসন লাগে। যাহোক, নাটোরের কাচাগোল্লা খেলাম, আম্মৃত মনে হলো ।
ঢাকার দিকে যাত্রা : ঘড়িতে বাজে ২:৩৫ ইচ্ছা ছিল আলো থাকতেই ঢাকা পৌছানোর। শীতকালে আলো থাকে ০৫:৩০ পর্যন্ত আমরা যেহেতু স্পিড লিমিট ক্রস করব না তাই ৮০kmph এ যাত্রা শুরু করলাম ঢাকার উদ্দেশে। ঠিক করলাম আগামী ১০০কিলো কোনো বিরতি দিব না।বিকাল ৪:০০ তাই যমুনা সেতু পার করলাম।
কিছু ছবি তুললাম আর অন্য রাইডারদের চোখ রাঙ্গানি। পথের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হই নি, শুধু অনুভব করছিলাম শীত বাড়ছে।বিরতি দিলাম যমুনা রিসোর্ট এর বিপরীতে চা এর দোকানে।পুরো রাস্তায় আমার CBZ অসাধারণ স্মুথ! থাকলেও শেষ ২৫ কিলোমিটার রাস্তায় অনেক ভাইব্রেশন দিচ্ছিল।
ইঞ্জিন এ হাত দিয়ে দেখলাম অনেক হিট হোয়ে গেছে সিদ্ধান্ত নিলাম ২০ মিনিট বিরতি দেয়ার। ফুয়েল মিটার দেকলাম রিসার্ভ এ যেতে ২ লিটার বাকি আছে, ঢাকা যেতে এখনও ১০০ কিলোমিটার বাকি। সাধারণতো শহরের রাস্তায় আমর বাইক ৪০kmpl দেয় । হিসাবে ১০ লিটার এ ৪০০ কিলো যাওয়ার কথা কিছু হাইওয়ে তে পেয়েছি ৩৫kpl।
বিরতির পর ইঞ্জিন এর হিট আর, ফুয়েল এর কথা চিন্তা করে ৫০-৫৫ kmph এ চালালাম একা পিছনে কাউকে নিলাম না। এলেঙ্গা এসে BP (মেঘনা) ফুয়েল নিয়ে আমি আর আমার বাইক প্রাণ পেল।তেল নিয়ে একটা টান দিয়ে দেখলাম, ভাইব্রেশন গায়েব! এটা কি বাইক রেস্ট দেয়ার জন্য নাকি বাইক হালকা করার জন্য তা বুজলাম না!
রাত ০৬:২০ এ চন্দ্রা পৌছালাম। আমার কাজিন এর হেলমেট এর গ্লাস ক্লিয়ার না থাকার জন্য ওর চালাতে কষ্ট হচ্ছিলো আর ঠান্ডায় আমাদের যাই যাই অবস্থা।কফি খেলাম, অসাধারণ লাগলো কিন্তু পরক্কনেই খুম আসতে লাগলো। আর মাত্র ৪০ কিলো পথ কিন্তু গার্মেন্টস ছুটি আর একন গাড়ি বাড়ছে তাই দেরী হবে চিন্তা করে শুরু করলাম চালানো। রাত ৭:৪৫ মিনিটে গাবতলী এসে পৌছালাম।ঢাকায় এসে আমার বাইক ওভার পাওয়ার মনে হচ্ছিল!
Tips:
1. Always clean your helmet visor, use and cotton to clean it in every break.
2. Take 1 liter and mix it with orsaline, periodic will lessen Dehydration
3. When you cross a bazaar, ride slow and make people pass the
4. Watch for dogs, and cows. In highways they behave similar to normal people!
5. Use X(“\, or, ;/”)[signs are bike and / or, \ directs the position] shape in group ride, it will help to see and communicate with another rider, it also help to prevent collision.
লিখেছেনঃ M Naim Mostafiz Antu