কম দামে ইলেকট্রিক বাইক আনলো জনপ্রিয় ব্রান্ড শাওমি । বাইকবিডি
This page was last updated on 03-Aug-2024 11:33am , By Ashik Mahmud Bangla
সময়ের সাথে সাথে পুরো বিশ্ব এখন গ্লোবাল ওয়ার্মিং দিকে অনেক বেশি সচেতন। তাই উন্নত বিশ্বগুলো এখন ইলেক্ট্রিক বাইক তৈরির দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। এই তালিকায় এবার যুক্ত হলো উন্নত প্রযুক্তির ইলেক্ট্রিক বাইক। চীনের বাজারে ইলেক্ট্রিক বাইক নিয়ে এলো জনপ্রিয় ব্রান্ড শাওমি। স্মার্টফোন, স্মার্টটিভি, ইলেকট্রিক বাইক শাওমির জন্য কিন্তু নতুন কিছু নয়।
ইলেক্ট্রিক বাইক কি?
খুব সহজভাবে বলতে গেলে যে মোটরসাইকেল বিদ্যুতের সাহায্যে মোটর ঘুরিয়ে সেই মোটরে বাইক চলে তাকে ইলেক্ট্রিক বাইক বলা হয়। সাধারন মোটরসাইকেল আর ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলের প্রধান পার্থক্য হলো জ্বালানি।
আমরা যে মোটরসাইকেলগুলো ব্যবহার করি সেই মোটরসাইকেল চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয় পেট্রোল। সাধারন মোটরসাইকেলে পেট্রোল পুড়িয়ে শক্তি তৈরী করে সেই শক্তি দিয়ে মোটরসাইকেল চলে। কিন্তু ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলে ব্যবহার করা হয় বিদ্যুত।
ইলেক্ট্রিক বাইক কি শাওমির নতুন এই মোটরসাইকেল এর নাম হিমো টি ওয়ান। এর আগে আরও দুটি ইলেক্ট্রিক বাইক বাজারে নিয়ে এসেছিল শাওমি। সেগুলো হল হিমো ভি-ওয়ান, হিমো সি ২০ ফোল্ডিং বাইক। তিনটি রঙে পাওয়া যাবে মোটরসাইকেলটি, লাল, ধূসর এবং সাদা। চাহিদার দিকে নজর রেখে মোটরসাইকেলটি ভারতের বাজারেও আনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
কি কি আছে হিমো টি ওয়ান ইলেক্ট্রিক বাইকে?
১৪০০০ এমএএইচ এবং ২৮০০০ হাজার এমএএইচ ব্যাটারিযুক্ত হিমো টি ওয়ান বাইকটি পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ হাজার এমএএইচ-এ ৬০ কিলোমিটার এবং ২৮ হাজার এমএএইচ-এ ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এই ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল। ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে ফ্রন্ট সাসপেনশন ফর্ক, ডুয়াল কয়েলওভার রিয়ার সাসপেনশন, রিয়ার সাইড ড্রাম ব্রেক এবং ফ্রন্ট সাইড হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ওয়ান বাটন স্টার্ট, মাল্টি ফাংশন কম্বিনেশন সুইচ এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে। এছাড়াও রয়েছে ৯০ এমএম ওয়াইড টায়ার, এলইডি লাইট। এছাড়া মাঝ পথে চার্জ শেষ হয়ে গেলে প্যাডেল করে মোটরসাইকেল চালানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। হিমো টি ওয়ান-এর ওজন ৫৩ কেজি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার।
Also Read: সব ধরনের মোটরসাইকেল এর সর্ব শেষ বাজার মূল্য জানুন।
ইলেক্ট্রিক বাইক ব্যবহারের সুবিধাঃ
১- ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল এর দাম সাধারণ বাইকের থেকে তুলনামূলক কম। তবে ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল যদি অনেক বেশি ফিচারযুক্ত হয় সেটা আলাদা ব্যাপার।
২- ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলপরিবেশ বান্ধব,এর অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে এতে কোন প্রকারের জ্বালানি করা হয় না। আর জ্বালানি ব্যবহার না করার ফলে এই বাইক থেকে কোন ধোঁয়া নির্গত হয় না। এজন্য এই মোটরসাইকেল পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না।
৩- ইলেক্ট্রিক বাইকের ব্যবহার খুব সহজ। আর তাই সব বয়সের মানুষ খুব সহজে ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারেন।
৪- সাধারন মোটরসাইকেলের সাথে তুলনা করলে ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলের খরচ কম। এই বাইকের রক্ষনাবেক্ষন খরচ কম।
৫-ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল খুবই কম খরচে রক্ষনাবেক্ষন করা যায়, পার্টসের দামও তুলনামূলক অনেক কম।
ইলেক্ট্রিক বাইক ব্যবহারের অসুবিধাঃ
১- যেহেতু ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল চার্জে চলে তাই এই বাইকগুলো নিয়ে খুব বেশি দূরে যাওয়া যায় না।
২- ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল হাইওয়েতে চলার কোন অনুমতি নেই।
৩- নির্দিষ্ট সময় পরে ব্যাটারী পরিবর্তন করতে হয় তখন আপনার এক সাথে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। সব দিক বিবেচনা করতে গেলে এই মোটরসাইকেল ব্যবহার করা লাভজনক। আমরা যারা প্রতিদিন অল্প দূরত্বে যাতায়াত করি তাদের জন্য এই জাতীয় বাইকগুলো বেশ উপযোগী, এর কারন ইলেক্ট্রিক বাইক বহন করা খুব সহজ এবং ইলেক্ট্রিক বাইক খুবই কম খরচে রক্ষনাবেক্ষন করা যায়।