যাত্রা শুরু করল নতুন বাইকিং ক্লাব – এস পি সি (সেফ রাইডিং প্রমোশন ক্লাব)

This page was last updated on 08-Jul-2024 09:01am , By Saleh Bangla

বাইকিং কমিউনিটিতে এস পি সি এক নতুন নাম। সেইফটি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও ফিজিক্যালি তেমন কোনো এক্টিভ গ্রুপ এখনো দেখা যায়নি বাংলা দেশের বাইকিং কমিউনিটিতে। তাই আমরা সেইফটি প্রমোশনের মটো নিয়ে পথ চলা শুরু করলাম। আশা করি আপনারা সকলেই আমাদের পাশে থাকবেন, আপনাদের সাপোর্টি আমার কাম্য। 

যাত্রা শুরু করল নতুন বাইকিং ক্লাব

এস পি সি এর প্রথম গেট টুগেদারের গল্পঃ

এস পি সি গ্রুপ শুরু পর থেকেই আমাদের প্যানেল নিয়ে কয়েক দফা আড্ডা হয়ে যায়। এই আড্ডায় আমরা ঠিক করি কিভাবে আমাদের গ্রুপটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। অনেক ভাবনা চিন্তার পর কিছু ব্যাসিক কাজের কথা আমাদের মাথা আসে। তারপর শুরু করি আমাদের পথ চলা। প্রথম কাজ হিসেবে একটা গেট টুগেদারে আয়োজন করবো ভাবলাম। নরমাল আড্ডা দিয়ে সবার সাথে পরিচিত হওয়া এখন পুরোনো পন্থা। তাই ২৩, নভেম্বর ২০১৮ রোজ শুক্রবার একটা শর্ট ট্যুরের আয়োজন করি গ্রুপ থেকে। আমাদের গ্রুপ থেকে প্রথম ইভেন্ট পোস্ট করা হয়। লোকেশন কেরানীগঞ্জ, রুহিতপুর সুহানা হোটেল। ইনসার আলীর খুদের খিচুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা করবো সবাই। তাই ট্যুরের দিন সকাল ৭:৩০ মিনিটে টি.এস.সি থেকে ৫ টা বাইক আর ৯ জন মেম্বার নিয়ে আমাদের প্রথম শর্ট টুর শুরু করলাম। শহরের যানজট পূর্ণ রাস্তা ধরে পথ চলতে চলতে গ্রামের যানজট হীন রাস্তা এক প্রান্তে এসে দারালাম আমরা। ছোট্ট একটা বাজার যার সবটা জুড়ে শুধুই মানুষ আর মানুষ। প্রচুর মানুষের ভীরে এক টুকরো জায়গাও খুজে নেই দাড়ানোর জন্য। এত ভিড় ঠেলে ছোট্ট একটা স্কুলের মাঠে গিয়ে পৌঁছলান। সেখানেই সকলের বাইক পার্ক করে, ভীর ঠেলে এগিয়ে গেলাম সুহানা হোটেলের দিক। কাছে যেতেই দেখি একরকম যুদ্ধ কিরছে সবাই খাবারের জন্য। বুঝলাম যুদ্ধ না করলে আজ খালি মুখে ফিরতে হবে। তাই আর সাত-পাঁচ না ভেবেই খাবার পাওয়ার যুদ্ধে লিপ্ত হলাম আমরা ৯ জন। খিচুড়ি আর ৫ প্রকরের ভর্তায় সাজানো প্লেট হাতে পেয়ে ভেবেছিলাম যুদ্ধে জয়ী হয়েছি, কিন্তু না আরো যুদ্ধ বাকী আছে, ডিম ভাজা নিতে হলে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে হবে আপনার, যাই হোক আবারো যুদ্ধে জয়ী হলাম আমরা সকলেই।

খাবার পেতে যতটা কষ্ট হোলো, তার চেয়ে বেশী কষ্ট হলো খাবার শেষ করে, এক মিনিটেই খাবার খাওয়া শেষ।  খাবার শেষে আমরা সবাই মিষ্টি মুখ করি। সুহানা হোটেলের বাহিরেই ভাজা হচ্ছে জিলাপি দারুন খেতে মচমচা ও সুস্বাদু। বেশ কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম সবাই স্কুলের মাঠে। তারপর শহরের যানজট পূর্ণ পরিবেশে ঘরে ফেরা। আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। ধন্যবাদ  আপনাদেরকে কষ্ট করে পরার জন্য। আমাদের সাথে থাকুন।  আপনাদের সাপোর্ট আমাদের  কাম্য। সেইফ থাকুন, সবসময় ফুল ফেইস হেলমেট এবং সেফটি গিয়ার ব্যবহার করুন।

লিখেছেনঃ Hasan Chowdhury Lingkon Admin SPC