Shares 2
এবারের বাজেটে ২৫০সিসি মোটরসাইকেল আমদানীর অনুমোদন পাচ্ছে
Last updated on 20-Nov-2023 , By Raihan Opu Bangla
দেশে বর্তমানে ১৬৫ সিসির ওপরে মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারে ছাড়া নিষিদ্ধ হলেও এবার আমদানির অনুমোদন পাচ্ছে ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল।
এবারের বাজেটে ২৫০সিসি মোটরসাইকেল আমদানীর অনুমোদন পাচ্ছে
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রথমবারের মতো ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্ক প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফলে বাজারে এলেও দাম থাকছে অন্য বাইকের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
দীর্ঘ দিন ধরেই এটি বাজারে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় খ্যাতনামা মোটরসাইকেল ব্রান্ড রয়্যাল অ্যানফিল্ড আসার আগ্রহ প্রকাশ করার পর দাবি আরও জোরালো হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, দেশে ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল তৈরি করতে দেশে কারখানা হচ্ছে। এ পণ্য আমদানিতে বর্তমানে কোনো শুল্ক আরোপ করা নেই।
২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে বর্তমানে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আছে। তাই ২৫০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ শুল্ক প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। এতে সিসি সীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
Also Read: ২৫০সিসি মোটরসাইকেল বাংলাদেশে–বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ভাল হবে নাকি ভাল নয় ??
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোটরসাইকেলের সিসির সঙ্গে গতির কোনো সম্পর্ক নেই। ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়।
বিশ্বের কোথায় এমন সিসি সীমা নেই। সিসি সীমা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বাড়তি সিসির মোটরসাইকেল নিবন্ধনে বাড়তি ফি নির্ধারণেরও সুপারিশ করে তারা।
ট্যারিফ কমিশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে মোটরসাইকেল খাতের দুই সংগঠনের একটি মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে।
সংগঠনটির আবেদনের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিসি সীমা তোলা নিয়ে ট্যারিফ কমিশনকে প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেশে ১৬৫ সিসির ওপরে মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারে ছাড়া নিষিদ্ধ। তবে রানার অটোমোবাইলসকে সরকার ৫০০ সিসির মোটরসাইকেল তৈরি করে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
অনেক দিন থেকেই আমরা শুনে এসেছি যে ৫০০সিসির অনুমোদন আসতে পারে। সেই সুবাদে ২৫০সিসি পর্যন্ত অনুমোদন প্রাপ্তি খানিকটা প্রশান্তি দিতে পারে বাইকারদের মাঝে। চলুন দেখে নেয়া যাক ২৫০সিসির অনুমোদনের পর কোন বাইক গুলো বাংলাদেশে আসতে পারে।
তথ্য ও প্রতিবেদনঃ বাংলানিউজ২৪ ডট কম
T
Published by Raihan Opu Bangla