Shares 2
এবার জেনে নিন মোটরবাইকের টায়ারের আসল বয়স এবং টায়ার ক্রয়ের সময় যে বিষয় মাথায় রাখা দরকার
Last updated on 06-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla
মোটরবাইকের টায়ার বাইকের খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ । তাই , মোটরবাইকের টায়ারের সম্পর্কে সবার ভালভাবে জানা উচিৎ । এখন আমাদের টপিক হল টায়ারের উৎপাদন তারিখ সম্পর্কে । টায়ার কবে , কোথায় উৎপন্ন হয়েছে সেটা সবারই জানা উচিৎ । আর এটা জানার পদ্ধতিটাও খুবই সহজ ।
যেরকম সকল প্রোডাক্টেরই বডিতে একটা সিরিয়াল নম্বর বা উৎপাদন তারিখ থাকে , ঠিক তেমনভাবেই বাইকের টায়ারের ক্ষেত্রেও একটা আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে । এই আইডেন্টিফিকেশন নম্বর হল টায়ারটি কবে , কোন সপ্তাহে বা কোন বছর উৎপাদিত হয়েছে তার একটা প্রতীক বা চিহ্ন ।
তো , আমরা আজ দেখব কীভাবে এই আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ইউজ করে বা দেখে আমরা কোন টায়ারের উৎপাদন তারিখ বা বছর জানতে পারি । তো চলুন , আজ আমরা এই বিষয়ের উপর একটা অলোচনা করি ।
Also Read: Maxxis M6302 (2.75-17) Tyre Price In Bangladesh - BikeBD
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্ট (DOT) এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি এডমিনিস্ট্রেশন এই টায়ারের আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালু করে । এটার নিয়ম হল , এই আইডেন্টিফিকেশন নম্বর হবে DOT এবং ১১-১২ টি লেটার বা নম্বর যেটা টায়ারের উৎপাদন স্থান , তারিখ , বছর সপ্তাহ , টায়ারের সাইজ ইত্যাদি নির্দেশ করবে । এর ভেতর আবার বিভিন্ন সাল থেকে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা হয় । সেটা আমরা জেনে নিই ।
যেসব টায়ার ২০০০ সালের পর উৎপাদিত :
২০০০ সারের পর যেসব টায়ার উৎপাদন হয়েছে তাদের উৎপাদনের সপ্তাহ এবং বছর আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের শেষ চারটি কোড দ্বারা বোঝা যায় । শেষ ৪ ডিজিটের ২ ডিজিট দ্বারা উৎপাদন সপ্তাহ এবং অন্য ২ ডিজিট দ্বারা উৎপাদন বছর হিসাব করা হয় । এর ভেতর একদম শেষের ২ টা ডিজিট বছর নির্ধারণ করে আর তার আগের ২ টা ডিজিট সেই বছরের কোন সপ্তাহে টায়ার উৎপাদিত হয়েছে সেটা নির্দেশ করে ।
নীচের ছবির উদাহরণটা হল ২০০০ সালের পর উৎপাদিত টায়ারের আইডেন্টিফিকেশন কোড বা নম্বর ।
উপরের উদাহরণের কোডটা হল: DOT U2LL LMLR 5107 । 51 : বছরের ৫১তম সপ্তাহে টায়ারটি তৈরী করা হয়েছে । 07 : ২০০৭ সালে টায়ারটি তৈরী হয়েছে
যেখানে আগে বাইকের টায়ারের এক সাইডে শুধু টায়ারের পুরো আইডেন্টিফিকেশন নম্বর লেখা থাকত , এখন নতুন নিয়মে টায়ারের অপর পাশেও শুধুমাত্র DOT এবং আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের প্রথম অংশটুকু লেখা থাকে । সে কারণে প্রথমে যেকোন এক সাইডে দেখলে আপনি হয়ত অসম্পূর্ণ আইডেন্টিফিকেশন নম্বরটা দেখতে পারেন , তাই তখন টাযারের অপর সাইডেও আইডেন্টিফিকেশন নম্বরটা চেক করে দেখুন ।
উপরের চিত্রে যেমন টায়ারের একপাশে অসম্পূর্ণ আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেখছেন , এটা সপ্তাহ বা বছর এর কোড ছাচে ফেলে তৈরী করার সময় টেকনিশিয়ানের ইনজুরির ঝুকি কমিয়ে দেয় ।
২০০০ সালের আগে উৎপাদিত টায়ার :
২০০০ সালের আগে উৎপাদিত টায়ারগুলো ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল যে, টায়ারগুলো ১০ বছরের বেশী ইউজ করা যাবে না । তাই ওই টায়ারগুলোর আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ও সেই ভাবে জেনারেট করা হয়েছে । কিন্তু , সেই টায়ারগুলোও বতূমান টায়ারগুলোর মত সেম ইনফরমেশন প্রোভাইড করে ।
তবে , এর উৎপাদন সাল বা সপ্তাহ আইডেন্টিফিকেশন কোডের শেষ তিনটি ডিজিট দ্বারা বোঝানো হয় । এই টায়ারের ক্ষেত্রে টায়ারটি কোন দশকের কোন বছরে উৎপন্ন হয়েছে সেটা শুধু আইডেন্টিফিকেশন কোডের লাস্ট একটা ডিজিট দ্বারা বোঝানো হয় , এবং তার আগের দুটি ডিজিট দ্বারা সেই বছরের কোন সপ্তাহে টায়ারটি উৎপন্ন হয়েছে সেটা বোঝানো হয় ।
নীচের ফটোটি ২০০০ সালের আগে উৎপাদিত টায়ারের আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের একটা উদাহরণ :
উপরের উদাহরণের কোডটি: DOT EJ8J DFM 408 । 40 : বছরের ৪০ তম সপ্তাহে টায়ারটি তৈরী হয়েছে । 8 : কোন দশকের অষ্টম বছরে টায়ারটি তৈরী হয়েছে ।
এই ক্ষেত্রে ২০০০ সালের আগের মোটরবাইকের টায়ারের ক্ষেত্রে টায়ারটি কোন দশকের কোন সালে উৎপাদিত হয়েছিল সেটা বোঝা সম্ভব , কিন্তু , সেটা নির্দিষ্ট কোন দশকে উৎপাদন করা হয়েছে বা নির্দিষ্ট কোন সালে উৎপাদন করা হয়েছে সেটা বোঝা সম্ভব নয়।
মোটরবাইকের চাকা সম্পর্কে বিস্তারিত এবং চাকার ফুল এবং ফাইনাল মেইনটেইন্স
Also Read: Gazi Tyre Rib (2.25-17) Tyre Price In Bangladesh
এখন , সবশেষে আপনার টায়ার কেনার বিষয়ে আসা যাক । বেশীরভাগ টায়ার ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানী টায়ার কেনার পর থেকে ৪ বছর অথবা তাদের উৎপাদন সপ্তাহ থেকে ৫ বছর ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে । এখন , আপনি যদি ২ বছর আগে তৈরী হওয়া কোন টায়ার কিনে থাকেন , তাহলে আপনি টোটাল কোম্পানীর কাছ থেকে ৬ বছরের ওয়ারেন্টি পেয়ে যাবেন যদি আপনি কেনার রশিদ ঠিক মত রাখতে পারেন ।
আর আপনি যদি রশিদ হারিয়ে ফেলেন তাহলে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী আপনি টোটাল ৩ বছর ওয়ারেন্টি পাবেন , কারন কোম্পানী তাদের উৎপাদন সপ্তাহ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে ।
তাই , টায়ার কেনার আগে যে টায়ারগুলো রিসেন্টলি তৈরী হয়েছে এমন টায়ার কিনুন । আপনার রশিদ হারিয়ে গেলেও আপনি অনেক বেশী সময় ওয়ারেন্টি ভোগ করতে পারবেন।
T
Published by Ashik Mahmud Bangla