Shares 2
টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০সিসি ৪৮,০০০কিমি মালিকানা রিভিউ - শাকিল আহমেদ
Last updated on 18-Jul-2024 , By Saleh Bangla
অামি শাকিল অাহমেদ, পেশায় ছাত্র। প্রথমেই বলে রাখি অামার একটা বদ অভ্যাস আছে, সেটা হল সারা দিনের ভেতর যতটুকু সময় পায় সে সময় টুকু বাইকের পেছনে দেওয়া। বাইক হল আমার জীবনের একটা অংশ, বাইক ছাড়া অামার জীবন যেন অচল। আমি যদি ১ জিবি ডাটা কিনি তাহলে তা থেকে ৯০০ এমবি ব্যবহার হয় বাইক বিডি, মটরসাইকেল ভ্যালি, ইউটিউব থেকে বাইক রিভিউ, বাইক স্টান্ট ইত্যাদিতে। আর বাকি ১০০ এমবি ব্যবহার হয় অন্য কাজে। যাইহোক কাজের কথায় আসা যাক, না হলে সারা দিন লিখলেও বাইক নিয়ে আমার কথা শেষ হবেনা। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ নিয়ে কিছু বিষয় শেয়ার করব।
অামি বাইক চালানো শিখি ২০০৬ সালে, আব্বুর হিরো হোন্ডা প্যাসান প্লাস দিয়ে। তখন থেকেই হয়ে উঠি বাইক প্রেমি। এর পর ২০০৯ সালে ব্যবহার করি ডিসকভার ১৩৫। ২০১১ সালে পালসার ১৫০ ইউজি ২। ২০১২ সালে পালসার ১৫০ ইউজি ৪। ২০১২ সালে আবারও পালসার ১৫০ ইউজি ৪.৫। এবং ফাইনালি ২০১২ সালের শেষের দিকে নিয়ে নেই টিভিএস এ্যপাচি আরটিআর ১৫০(কালো+সবুজ)। এখনও পযর্ন্ত মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে কোন রকম দুর্ঘটনা ছাড়াই ৪৮,০০০ কিমি রাইড করেছি। আমি কোন টেকনিকাল পার্সন নয়, আমি একজন সাধারন বাইকার যে কিনা প্রয়োজনের তাগিদে এবং শখের বসে বাইক ব্যবহার করি। আজ আমি চেষ্টা করব এই বাইকটার কিছু ভাল মন্দ দিক এবং বাইকটা ব্যবহারে আমার অভিঙ্গতা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।
টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ - লুকস
প্রথমেই আসি এর লুকের ব্যপারে, আরটিআরের সবচেয়ে আমার যে দিকটা ভাল লাগে সেটা হল এর লুক। বিশেষ করে এর সামনের দিকটা আমার কাছে আসাধারন লাগে। ক্রিস্টাল হেডলাইট, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, বড়, ফুয়েল ট্যান্ক, রেচিং চ্যাসিস, রেডি পিকাপ, কম জালানি খরচ সব মিলিয়ে বাইকটা আমার কাছে অসাধারন লাগে।
টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ - পারফর্মেন্স
এবার আসি এর পারফরমেন্সের ব্যাপারে, লো বাজেটের ভেতর এই বাইক টার ইন্জিন আমার কাছে যতেষ্ট ভাল মনে হয়েছে। ২ লাখ টাকা বাজেটের ভেতর আরটিআরের পিকাপ আমার কাছে অনেক ফাস্ট মনে হয়। যে রাস্তায় আমি পালসার ১১৭ এর উপরে তুলতে পারিনি সেই একই রাস্তায় আমি আরটিআর ১৩১ পর্যন্ত তুলতে পেরেছি।
<<<<<<<TVS Apache RTR 160 Launching Video>>>>>>
https://www.youtube.com/watch?v=8X2iiwvggeA
এত রেডিপিকাপ হওয়া সত্তেও আমি অবিশ্বাস্য ভাবে এই বাইকটা থেকে ৫০ কিমি মাইলেজ পেয়েছি। কিন্ত পেছনের টায়ারটা যখন আমি চেন্জ করে ১২০/৮০/১৭ লাগিয়েছি তারপর থেকে মাইলেজ ৪৫ পাচ্ছি। তবে বাইকটা টপ স্পিডে অনেক ভাইব্রেশন করে যেটা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে। আর বাইকটার স্পিডের তুলনায় বেকিং সিস্টেমটা আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল।
টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ - রাইডিং অভিজ্ঞতা
বাইকটা রাইড করার সময় আনেকটা সামনের দিকে ঝুকে রেসিং ভঙ্গিতে রাইড করতে হয় যেটা আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি বাইটা সিটি এবং হাইওয়ে সব জাইগায় রাইড করেছি। তবে কোন লং টুর করিনি। আমি একদিনে সর্বচ্চ ২২০ কিমি রাইড করেছি, পাফরমেন্স ছিল সন্তোসজনক। ৪৮০০০ কিমি চালিয়ে আমি তেমন কোন বড় সমস্যাই পড়িনি।
বাইকটার ভাল দিকঃ
- লম্বা ছিট
- বড় ফুয়েল ট্যান্ক
- রেডি পিকাপ
- টপ স্পিড রেকডার
- ভাল মাইলেজ
বাইকটার খারাপ দিকঃ
- ব্রেকিং সিস্টেম তেমন ভালনা
- ভাইব্রেশন করে
সর্বপোরি বলাযায়, ১৭২০০০ টাকায় এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায়না। এই বাজেটের ভেতর টিভিএস এপাচি আরটিআর একটা ভাল বাইক, আপনারা যারা আরটিআর কিনতে চান তারা কিনতে পারেন। আরটিআর ব্যবহারকারি হিসেবে আমার সাপর্ট আছে। আজ এপর্যন্তই, এটা আমার জীবনের প্রথম রিভিউ, ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন আর অবশ্যই অবশ্যই হেলমেট পরে বাইক চালাবেন।
লিখেছেন - শাকিল আহমেদ
T
Published by Saleh Bangla