Shares 2

টিউবলেস টায়ার ফিচার ও বেনেফিট

Last updated on 15-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla

টিউবলেস টায়ার ফিচার ও বেনেফিট। আজকের দিনে আধুনিক ও হাইটেক মোটর ভেহিকেলে টিউবলেস টায়ার মোটামুটি একটি কমন ফিচার। সেইসূত্রে মোটরসাকেলেও এই ধরনের টায়ার এখন বহূল প্রচলিত। কিছু স্পেশালাইজড ফিচার নিয়ে এই টায়ার দ্রুতই বাজারে বেশ বড় জায়গা করে নিয়েছে। আর তাই এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। তো চলুন সেই আলোচনায়।

টিউবলেস টায়ার ফিচার ও বেনেফিট

টিউবলেস টায়ার ফিচার ও বেনেফিট

আধুনিক মোটরগাড়ীর জন্যে টিউবলেস-টায়ার মূলত: মডার্ণ টেকনলোজির এক অনন্য অবদান। এটি গতানুগতিক রাবার টিউব ব্যাতিরেকেই স্বাতন্ত্রভাবে  কাজ করে থাকে। এই টায়ার নিজেই বাতাস ধারন করে এবং একইসাথে এর বাইরের লেয়ারটি রোড সারফেসের সাথে লেগে থাকে।

এই সলিড টেকনলোজি টিউবলেস টায়ারকে দিয়েছে বাড়তি কিছু প্রিমিয়াম ফিচার। আর সেকানেই এটি কিছু অসাধারন পারফর্মেন্স দিতে পারে। টিউবলেস টায়ারের সেই এ্যাডভান্সড ফিচার ও বেনেফিটগুলোই মূলত: নিম্নে আলোচিত হলো।

ডেডিকেটেড ফিচার ও প্রিমিয়াম ক্যারেক্টারিষ্টিকস

টিউবলেস টায়ার মূলত: বাড়তি কিছু উপযোগীতা পাবার জন্যেই ডেভেলপ করা। কিছু অনন্য সাধারন বৈশিষ্ট্যই একে অধুনিক মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেলে ব্যবহারের উপযোগীতা দান করেছে। আর সেকারনেই আধুনিক স্ট্রিট-বাইক, স্ট্রিট-কমিউটার ও স্পোর্টস বাইকে এই টায়ার বহূল ব্যাবহৃত হচ্ছে।টিউবলেস টায়ার ডেডিকেটেড ফিচার

Also Read: Timsun TS-628 100/90-18 tyre price in Bangladesh | BikeBD

সুপারিয়র স্ট্রিট পারফর্মেন্স

টিউবলেস টায়ার মূলত: এ্যাডভান্সড স্ট্রিট পারফর্মেন্স দেবার জন্যেই তৈরি করা হয়। এই টায়ারগুলোতে গঠনগতভাবেই সুপারিয়র স্ট্রিট-রাইডিং ফিচার ও ক্যারেক্টারিস্টিকস যুক্ত থাকে। এর আউটার লেয়ার ডিজাইন ও থ্রেড-প্যাটার্ণ সবই বেটার ষ্ট্রিট পারফর্মেন্সের জন্যে ডেডিকেটেড। আর সেকারনেই স্পোর্টবাইক, ট্র্যাক-বাইক এর সাথে সাথে এখনকার কমিউটার বাইকেও এই টায়ার বহূল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ফুয়েল মাইলেজ এফিশিয়েন্ট

মোটরসাইকেলের ফুয়েল ইকোনমি নিশ্চিতের দিক দিয়েও টিউবলেস টায়ার একধাপ এগিয়ে। টিউবলেস টায়ারগুলো মূলত: বেটার ফুয়েল ইকোনমি পাবার জন্যে সলিড ডিজাইনের হয়ে থাকে। এর মোটা রাবার লেয়ার, স্ট্রিট থ্রেড-প্যাটার্ণ চাকাকে সহজে গড়াতে সাহায্য করে। ফলে বেশি ফুয়েল ইকোনমি নিশ্চিত হয়।টিউবলেস টায়ার ফিচার ও মাইলেজ

পারফর্মেন্স ওরিয়েন্টেড

টিউবলেস টায়ারগুলো গঠনগতভাবেই পারফর্মেন্স ওরিয়েন্টেড। এই টায়ারগুলি চাকাতে পাওয়ার ডেলিভারীর সাথে সাথেই রেসপন্স করে ও কম বাধাহীনভাবে চলতে সাহায্য করে। আর সঙ্গত কারনেই ডেডিকেটেডে পারফর্মেন্স টায়ারগুলো মূলত: টিউবলেস টাইপের হয়ে থাকে।

ডেডিকেটেড স্পোর্টস ফিচার

টিউবলেস টায়ারগুলোতে থাকে ডেডিকেটেড স্পোর্টস ফিচার। আর ডেডিকেটেড স্পোর্টস টায়ারগুলো পুরোপুরিই পারফর্মেন্স ওরিয়েন্টেড। এগুলিতে থাকে প্রিমিয়াম অন-ট্র্যাক গ্রিপ, স্মুথ পাওয়ার ডেলিভারী, ও সুপ্রীম ব্রেকিং ফিচার। তবে এসব ফিচার এখনকার স্পোর্টস বাইকের টিউবলেস টায়ারেও সচরাচর বিদ্যমান।টিউবলেস টায়ার ফিচার স্পোর্টস

টিউবলেস টায়ার ফিচার - সেফটি ও রিলায়াবিলিটি

অনরোড সেফটি ও রিলায়াবিলিটি টিউবলেস টায়ারের একটি অন্যতম কোর-ফিচার। তাই এই টায়ার হাইস্পিড স্ট্রিটবা্ইক ও স্পোর্টসবাইকের জন্যে একটি সেফার ও রিলায়েবল অপশন। টিউবলেস টায়ারের সাইডওয়াল, সারফেস কন্টাক্ট লেয়ার, সবই বেশ মোটা। ফলে টায়ার বাতাসের চাপে বা গরমে লিক বা বার্স্ট হওয়া তেমন সহজ নয়।

আর টায়ার লিক হলেও তা টিউবড টায়ারের মতো তৎক্ষনাৎ বসে যায় না। ফলে চালক তার বাইক কন্ট্রোলে নিয়ে আসার অনেক সময় পান। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিক সারানো বা টায়ার বদলে ফেলার কাজটিতে দেরী হলেও তেমন সমস্যা হয় না।

টিউবলেস টায়ার ফিচার ও সেফটি

মিনিমাল মেইনটেন্যান্স ইস্যু

টিউবলেস টায়ারে তেমন মেইনটেন্যান্স ইস্যু নেই। একটি টায়ার ঠিকমতো এর রিমে বসিয়ে বাতাস ভরে নিলে টায়ার নিয়ে আর তেমন না ভাবলেও চলে। আর অন্যান্য ধরনের টায়ারের মতো এর এলাইনমেন্ট বা টিউব ভাঁজ হয়ে যাবার মতো ঝামেলাও এতে নেই। তাই এর মেইনটেন্যান্স ইস্যুও অত্যন্ত কম।

টিউবলেস টায়ার ফিচার ও বেনেফিট

তো বন্ধুরা, সবমিলিয়ে বলা যায় টিউবলেস টাইপ টায়ার ইউটিলিটি ও পারফর্মেন্সের এর এক চমৎকার সমন্বয়। এটা বিশেষকিছু ফিচার ও পারফর্মেন্সের জন্যে একটি ডেডিকেটেড অপশন। আর আধুনিক পারফর্মেন্স মোটরসাইকেলের জন্যে অবশ্যই এটি একটি চমৎকার সল্যুশন। ধন্যবাদ।

Published by Ashik Mahmud Bangla