Last updated on 04-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
জীবনে প্রথম মোটরসাইকেল চালানো শিখি আমি যখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি, সালটা হবে ১৯৯৭। মামার হোন্ডা Hs - 100 দিয়ে। মামার বাড়ির সামনে বিশাল একটা মাঠ আছে, খুব একটা সমস্যা হয়নি শিখতে। সেই থেকে বাইকের পোকা মাথার ভেতর ঢুকে গিয়েছিল। খুব স্বভাবতই ক্লাস সেভেনে পড়া ছেলে হাতে বাইক কেউ দিতে চায় না ।
আমার মোটরসাইকেল চালানোর শুরু ও Cafe Racer বানানোর গল্প
মাঝে মাঝে কিছু সময় এর জন্য মামার উপস্থিতিতে চালাতাম কিন্তু মন পড়ে থাকত কখন মাঠের গন্ডি পেরিয়ে রাস্তায় যাব। মাঝে মাঝে লুকিয়ে মেইন রাস্তায় চলে গিয়েছিলাম, বকাও খেয়েছি অনেক। আমার একটা গিয়ার ওয়ালা সাইকেল ছিল যেটা প্রাইভেট আর স্কুল এ যাতায়াত এর জন্য ব্যবহার করতাম। মাঝে মাঝে বাইক ভেবে সাইকেলে গিয়ার গুলা ফেলতাম এখন মনে হলে খুব হাসি পায়। আমি আগে থেকেই ক্লাসিক এর পাগল ছিলাম, সব ক্ষেত্রেই।
সবাই বলত একটু মর্ডাণ হও। আমার পছন্দের সারিতে আগে থেকেই ছিল জাপানী বাইক। ৪/৫ টা ইন্ডিয়ান বাইক ও চালিয়েছি কিন্তু ক্লাসিকের সেই মজাটা কথনই পাই না্ কেন জানি। কিছু দিন চালিয়ে বিক্রি করে দিয়েছি। ভগ্যক্রমে আমি ভাল কন্ডিশনের একটা জাপানী হোন্ডা সিজি-১২৫ বাইক পেয়ে যাই। আমার পরিচিত এক আংকেল এর। প্রথম দেখাতেই বাইকটা লুকিং এবং সাউন্ড এর প্রেমে পড়ে যাই। যেই কথা সেই কাজ, আংকেল কে ম্যানেজ করে নিয়ে ফেললাম বাইকটা। প্রায় অনেক দিন আগেই নেয়া হয়েছিল বাইকটা। গ্রাজুয়েশন শেষ করে কিছু দিন একটা মোবাইল অপারেটর কোম্পানী তে চাকরী করেছি বেশ কিছু দিন। কিন্তু প্রফেশনালী আমি একজন ফ্রিল্যান্সার।
কাজের সুবাদে দিনের বেশির ভাগ সময় অন লাইনে থাকতে হয়। ক্যাফে রেসার এর প্রেমে পড়েছি অনেক আগেই। গুগলে প্রায় প্রতিদিনই ক্যাফে রেসার এর মডেল দেখতাম আর ভাবতাম আমার বাইকটাকে ক্যাফে রেসার বানালে কেমন লাগবে । যেই ভাবা সেই কাজ। বাইকটাকের মডিফাই করে ক্যাফে রেসার বানিয়ে ফেললাম। ডিজাইনটা ইন্টারনেটে ২/৩ টা বাইক দেখে নেয়া। একটা ব্যাপার আমার খুব ভাল লেগেছে কেউ বাইকটা দেখে খারাপ বলে নাই বরং বাইক এর লুক একটু একসেপসোনাল হওয়ার কারনে অনেকেই জানতে চেয়েছে এটা বিষয়ে।
আমাদের বাংলাদেশে ক্যাফে রেসার খুব একটা পরিচিত নয় যতটা বিদেশে পরিচিত। বিদেশে প্রতিটা দেশই কম বেশি ক্যাফে রেসার গ্রুপ আছে এবং ক্যাফে রেসার ওয়ার্কসপ আছে যেখানে পুরাতন বাইক এ নতুন করে ক্যাফে রেসার লুক দেয়া হয়। আমাদের দেশে যেহেতু বাইকের সিসি লিমিট আছে, এ ক্ষেত্রে আমার মতে হোন্ডা সিজি - ১২৫ অথবা সিজি মডেল এর বাইক গুলোতে ক্যাফে রেসার লুক দেয়া সুবিধা (বিশেষ করে জাপানী বাইক গুলোতে)।
ক্যাফে রেসার এ বাইকের অতিরিক্ত কিট যেমন, বাম্পার, মার্ডগাড, চেইন কাভার অপসারন এর মাধ্যমে বাইকে আরো হাল্কা করে তোলে। ক্যাফে রেসার এ সোজা হ্যান্ডল বার একটু ডাউন হওয়ার ফলে সিটিং পজিশন একটু আলাদা হয়ে যায় যেটা আপনার সিটিং পজিশনকে স্পোটি লুক দিবে।
Also Read: 150cc Cafe Racer Bikes In Bangladesh At A Glance
আমার মতে ক্লাসিক এবং স্পোটির কম্বিনেশন হলো ক্যাফে রেসার। রেয়ার টায়ার মোটা লাগানোর ফলে আমার ব্রেকিং এবং ব্যালেন্স আগের থেকে ভাল পাচ্ছি যদিও ফুয়েল একটু বেশি খাচ্ছে। আমি ক্যাফে রেসার বানানোর পর টেস্ট ড্রাইভে আমি খুব সহজেই স্পিড ১১০ কি:মি / ঘন্টা ক্রস করেছি। যদিও হোন্ডা সিজি - ১২৫ এর টপ স্পিড ১২০ কি:মি:/ ঘন্টা যদি ইন্জিন কন্ডিশন ভাল থাকে। I am sure, when you ride a Cafe racer, you look really cool and exceptional.
যদি কেউ বলে ক্যাফে রেসার দিয়ে কি লং ড্রাইভ করা যাবে ? আমি বলব
No..Straight up No. Here's why. For long distance trips you'll be sitting in 1 position on a bike for hours at a time. Physical discomfort is fatiguing and body stress inducing. It's a one or the other in my opinion. Get a cafe racer for local short fun rides, and a long distance bike for the longer rides.
# Never get too much speed that you can't control.
# Always wear Helmet.
Happy Biking and Thanks to everyone.
-Mynoor Rahman Milky