Shares 2
Yamaha FZS FI V3 ৪০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - বাধন
Last updated on 31-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla
আমি বাধন । বগুড়া জেলায় বসবাস করি । আমি একটি Yamaha FZS FI V3 বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি আমি ৪০০০ + কিলমিটার রাইড করি । আজ আমি আমার এই ৪০০০+ কিলোমিটার রাইডের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
Yamaha FZS FI V3 ৪০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - বাধন
আমার প্রথম বাইক ছিল Yamaha FZS FI V2 । Yamaha FZS FI V2 বাইকটি ৩ বছর ব্যবহার করে নতুন মডেল Yamaha FZS FI V3 বাইকটি ক্রয় করেছি ।
ছোট বেলা থেকেই বাইকিং এবং টুরিং এর ব্যাপারটা একটা স্বপ্ন ছিল । আর সেই স্বপ্নটা বাইক ক্রয় করে পূরন করি । আমি প্রতিটা বাইক গ্রুপ কে পছন্দ করি এবং বাইক নিয়ে ট্যুর করতে ভালোবাসি। ২০১৮ সালে বাইক কিনতে গিয়ে আমার Yamaha FZS FI V2 বাইকটি ভালো লাগে এবং সেই ছোট থেকে ঘুরাঘুরি ও বাইকিং গ্রুপ ট্যুর, এবং শুরু হয় ভালোবাসা নিয়ে ইয়ামাহার সাথে পথ চলা।
বাইকটি বগুড়ার ইয়ামাহার অফিসিয়াল শো-রুম থেকে ক্রয় করি। বাইকটি আমার বাবা-মা তাদের পছন্দে কিনে দেয়। একদিন হঠাৎ বাবা কে বললাম বাবা বলে চলো বাইক দেখতে যাবো তারপর দিনই বাইক কিনে নিয়ে চলে আসি।Yamaha FZS FI V3 নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে বলতে হবে এর Anti Lock Braking System (ABS) নিয়ে। সিঙ্গেল চ্যানেল ABS এক কথায় অসাধারণ। আমাকে যেকোন পরিস্থিতিতে বাইকটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি অতুলনীয়। বাইকটি কন্ট্রোলিং এর জন্য অসাধারণ।
ফুয়েল ধারণ ক্ষমতা ১২ লিটার , এফ আই বাইক হওয়ার কারনে ফুল ট্যাংক তেলে নিশ্চিন্তে অনেক দিন রাইড করা যায় । ফুয়েল ট্যাংকের কাছে চাবি থাকায় জিনিষটা আমার কাছে অসাধারণ লাগে । LED হেডলাইট থাকায় রাতে নিশ্চিন্তে রাইড করা যায়।
সামনে পিছনে টায়ারের সাইজ 100/80-17m/c52p এবং 140/60R17M/C63P হওয়ায় কর্নারিং এর সময় কোন সমস্যা পাইনি । পিলিয়ন সীটটি প্রশস্থ থাকায় আমার মা-বাবা কে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে রাইড করতে পারি। বাইকটিতে এভারেজ 40-45 মাইলেজ পাচ্ছি এবং এর টপ স্পীড পেয়েছি 125।
৮০-৯০ স্পীডে বাইকটি খুব সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রনে থাকে। এছাড়া একটানা রাইড করায়ও যাত্রা পথে আমাকে আরামদায়ক রাইড উপহার দিয়েছে। ব্যাক পেইন এর কোন সম্ভাবনা এই বাইকে নেই। ব্রেকিং পিরিয়ড সঠিক নিয়মে মানলে এবং সব সময় ভাল ফুয়েল ব্যবহার করলে Yamaha FZS FI V3 বাইকটি হতে পারে আপনার দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী।
Yamaha FZS FI V3 Review By Team BikeBD
আমি বেশি ভাগ সময় বগুড়ার শো-রুম এ সাভিস করাই বাইরে কোথাও কাজ করানোর প্রয়োজন হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী বাইকটি ব্যাবহার করি এবং বাইক বাসা থেকে বের করার সময় মুছে পরিষ্কার করে বের করি এছাড়া মাঝে মাঝে ওয়াস করে পলিস করাই।
ইঞ্জিন অয়েল নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করি, চেইনে গিয়ার অয়েল ব্যাবহার করি এছাড়া দুই-তিন মাস পর পর সাভিস করাই। বাইকটিতে ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে ইয়ামাlলুব ব্যবহার করি। Yamaha FZS FI V3 বাইকের ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড 10w40 অথবা 20w40 মিনারেল এর দাম ৪৯৫ টাকা।কোন মোডিফাই করি নাই শুধু কিছু বাইকিং গ্রুপের ইস্টিকার লাগানো আছে । বাইকটি নিয়ে লম্বা সময় বলতে বগুড়া টু দিনাজপুর গিয়েছি।অনেক ভালো লাগছে কোনো সমস্যা হয় নাই একটু ও চলতে পথে বিরক্তি লাগে নাই পারফর্মেন্স ও অনেক ভালো ছিলো। পরিশেষে বলতে গেলে Yamaha FZS FI V3 একটি অসাধারণ বাইক এবং আমার ভালোবাসার বাইক। ধন্যবাদ ।
Yamaha FZS V3 User Review By Tushar [Team BikeBD]
লিখেছেনঃ বাধন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Raihan Opu Bangla