Shares 2

Walton Fusion EX 110 মালিকানা রিভিউ - ওসমান শিমুল

Last updated on 28-Jul-2024 , By Saleh Bangla

আমি মোহাম্মদ ওসমান গনি শিমুল,বয়স ২০ বছর। আমি লক্ষ্ণীপুর জেলায় বসবাস করি। আমার জীবনের প্রথম বাইক ইয়ামাহ আর এক্স -১০০। ২০১১ সাল যখন আমি ক্লাস ৬ এ তখন আমি আমার বাবার বাইকে বসতাম। আমার চাচাত ভাই ও ছোট ভাইকে  বাইক ধাক্কা দিতে বলতাম। আমার বাবার একটি Walton Fusion EX 110 বাইক ছিল। যা এখন আমি ব্যবহার করি। আজ আমি আপনাদের কাছে  Walton Fusion EX 110 বাইকটির রিভিউ নিয়ে এসেছি।

Walton Fusion EX 110 মালিকানা রিভিউ - ওসমান শিমুল

walton fusion ex 110 bd

২০১১ সালের কোরাবনি ঈদ এর দিন সবাই যখন ব্যাস্ত আমি চুরি করে বাবার বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। স্ট্রার্ট দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকি। অনেক্ষন পর বাবা আসার পর যখন দেখলেন তখন রাগারাগি করলেন এবং বকা দিলেন। পরে তিনি নিজে আমাকে ডেকে বাইক চালানোর নিয়ম বুঝিয়ে দিলেন আর তিনি নিজে পিছনে বসে ছিলেন। ওই দিল প্রায় 4-5 কিলো চালিয়েছিলাম। ঠিক তখন থেকেই আমার বাইক চালানোর যাত্রা শুরু হয়।

এরপরে আমার বাবা 2013 সালে Walton Fusion EX 110 অনেক পছন্দ  করে কিনে আনেন। আমি মাঝে মধ্যে বাবার বাইকটা চালাতাম। আর বাবা ওনার কাজে বাইক নিয়া ব্যস্ত  থাকতেন । ২০১৬ সালের রোজার আগে বাবা অসুস্থ হয়ে ইনতেকাল করেন। এরপর সংসারের বড় ছেলে হিসেবে সব কিছুর দায় দায়িত্ব আমার উপর এসে পরে। আব্বার কনস্ট্রেকশন এর কাজ আমি হাতে নিয়ে নেই আর তার সাথে তার বাইক টাও।

Also read: সর্বশেষ ওয়াল্টন বাইক নিউজ বাংলাদেশ

walton fusion ex 110 price in bangladesh

Walton Fusion EX 110 বাইকটা যখন বাবা চালাতেন তখন সামান্য সমস্যা হয়েছিল যেমন সিডিআই,হর্ন,ওয়ারিং,চাকা,ব্যাটারি লাইট সহ ইত্যাদি সমস্যা হয়। কিন্তু যখন আমার হাতে বাইকটি আসে  তখন ইন্জিন ডাউন সহ টায়ার টিউব, ম্যাগনেট বাটি ও ম্যাগনেট কয়েল ৩ বার চেঞ্জ করি। হেড লাইট এ আলো কমে যাওয়াতে ফগ লাইট লাগিয়ে নিয়েছি। পিসটন ৩ বার ইত্যাদি আর বাইকটা ৩ দিন যাবৎ গ্যারেজে পড়ে রয়েছে মনে হচ্ছে আবার ডাউন দেওয়া লাগবে,কানেক্টিং,ক্লাস প্লেটওবাটি,২ গিয়ার এর পিনিয়াম,হেড স্যালেন্ডারের কাজ করানো লাগবে।

walton fusion ex 110 price

তবে Walton Fusion EX 110 এর কিছু সুবিধা আছে। এর মধ্যে মাইলেজ অন্যতম। বাইকটি এখনো লিটারে ৪৫-৪৮ কিলো যায়। বাইকটি নিয়ে সময় অসময়ে  নানা জায়গায় সহজেই যেতে পারতাম কখনো জ্যামে পড়তাম না। লক্ষিপুর টু চিটাগাং ক্ষয়য়ার চর ২ বার ভ্রমণ করলাম ২৫০ কিলো। আলেকজেন্ডার কয়েকবার টুকিটাকি অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি।  আর ভ্রমনের সময় বাইকটি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই চলেছে। তাই বাইকটি আমার কাছে ভাল লাগে।

walton fusion ex 110 bd price

Walton Fusion EX 110  পিছনের চাকাটা মোডিফাই করে মোটা করলাম যা বাইকবিডি গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম। টপ স্পিড নতুন অবস্থায় ৬-৭ বার ৯২,৯৬ কিমি উঠিয়েছিলাম। তবে এখনো অনেক বেশি না উঠলেও ৭০-৮০ পর্যন্ত উঠানো যায়।  এছাড়া মাইলেজ  হাইওয়েতে ৪৮ আর নরমালে ৪৪.৪৫। কন্ট্রোলিং এ আমার অসুবিধা হয় না। তবে অন্য কেউ রাইড করলে বলে পিছনের চাকা নাকি স্লিপ করে। আগে লং ট্যুরে গেলে সমস্যা হত না।কিন্তু ইদানিং ইন্জিন গরম  ও মোবিল কমে যায় আর স্টার্টে  সমস্যা দেয়।

walton fusion ex 110 price bd

শেষ কথায় বলতে চায় আমার মত মধ্যবিত্তের ছেলেদের জন্য Walton Fusion EX 110 বাইকটিই সেরা আমার জন্যে আমি আমার বাইক নিয়েই সন্তুষ্ট আর বাইকটা আমার বাবার শেষ সৃতি আর্টিকেল টিতে অনেক ভুল ভ্রান্তি (বানানে)আছে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন সবাই।

Published by Saleh Bangla