Shares 2
TVS Apache RTR 160 4V ১০০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - অয়ন
Last updated on 01-Aug-2024 , By Shuvo Bangla
আমি অয়ন হোসেন আজ আপনাদের আমার TVS Apache RTR 160 4V এর ১০,০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। বাইকটি আমি গতবছর কিনি, এই বাইকের আগে আমার Gixxer SD ছিল। এই ১০,০০০ কিলোমিটারে আমার কাছে পার্সোনালি যেসব বিষয় ভালো বা খারাপ লেগেছে সেইগুলো শেয়ার করবো। কেউ পার্সোনালি নিয়েন না। আমি এটার একজন ইউজার হিসেবে আমি এটার ব্যাপারে মতামত দিচ্ছি।
ইঞ্জিন পাওয়ার -
এই বাইকের প্রতি আমার সবচেয়ে বেশি ভালোলাগা কাজ করে যেটা সেটা হলো এর ইঞ্জিন পাওয়ার। আমার কাছে এখন পর্যন্ত এই বাজেটে অন্য কোন ন্যাকেড স্পোর্টস বাইকের পাওয়ার এটার মতো মনে হয় নি। আমি আগে Gixxer user ছিলাম কিন্তু সেটার পাওয়ার আউটপুট ও এটার মতো এতো ভালো না। হাইওয়ে বলেন বা সিটিতে, কোন গাড়ি ওভারটেক করতে কখনো কনফিডেন্স ল্যাক করেনি।
আপনি এটার যে কোন গিয়ারেই যে কোন RPM এই এটার টর্ক টা পাবেন। ধরেন আপনি ৪০-৫০ এ ৪ গিয়ারে আছেন এখন সামনে কোন বাস বা ট্রাক কে আপনি ওভারটেক করবেন, তাহলে আপনি যাষ্ট পিকাপ দিবেন আর সাথে সাথে বের হয়ে যেতে পারবেন।
ব্রেকিং ও ব্যালেন্সিং -
এই বাইকের ব্রেকিং মোটামুটি ভালো। সিংগেল ABS সাথে পিছনে Radial টায়ার এর জন্য বাইকটির ওভারঅল ব্রেকিং ফিডব্যাক আগের চাইতে ভালো। বালু, কাদা কোথাও তেমন সমস্যা হয় না। কিনার আগে অনেক YouTuber এর থেকে এটার ব্রেকিং নিয়ে অনেক নেগেটিভ কথা শুনেছি কিন্তু বাস্তবে এতটাও খারাপ না যতটা মানুষ বলে। আর এই বাইকটির ওয়েট বেশ ভালো ই যার জন্য হাই স্ডিপে স্ট্যাবল থাকে। কিন্তু ওয়েট ডেসট্রিবিউশন অতটা ভালো না ।
ডিজাইন -
যদিও এটা এক এক জনের এক এক রকম পছন্দ তবুও এটার ডিজাইন আর কালার কম্বিনেশন আমার কাছে ভালো লেগেছে। এটার বিল্ড কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো।
মাইলেজ -
আসলে এই বাইকের মাইলেজ নিয়ে আমি খুবই প্যারায় আছি। আমি এখন পর্যন্ত ৩৭ পেয়েছি সর্বোচ্চ। আর যদি একটু হাই রেভ করা হয় তাহলে ২২-২৫ এ নেমে আসে।
টায়ার -
এই বাইকে পিছনে TVS এর Radial টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে যেটার কোয়ালিটি যথেষ্ট মানসম্মত এবং ভালো রোডে বেশ ভালো গ্রিপ দেয়। যদিও বালু বা কাঁদায় গ্রিপ একটু কম দেয় কিন্তু এর মানে এই নয় যে উল্টায় পরবেন।
গিয়ার বক্স -
আমার ব্যবহার করা বাইকগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে স্মুথ গিয়ার বক্স পেয়েছি এই 4V তে। আর Slipper clutch না হওয়া সত্ত্বেও এর clutch অনেক সফ্ট।
খারাপ বিষয় সমূহ -
ব্রেকিং -
এটার সামনের Master cylinder টা ভালো না তেমন। বাইক থামবে বাট master cylinder এর জন্য বাইটটা একটু কম ফিল হয়। আর এটার Abs নিয়ে আমি ইস্যু ফেস করেছি। যদিও পরে TVS থেকে আমাকে ফ্রিতেই ঠিক করে দিয়েছিল। হটাৎ ABS অটো অফ হয়ে গিয়েছিল। ABS scanning করে false cord delete করা লাগছে।
সামনের সাসপেনশন -
এটার যে ওয়েট সেই হিসেবে সামনের suspension অনেক চিকন। তাই যখন ব্রেক করবেন এই suspension গাড়ির ওজন টা ঠিক মতো নিতে পারে না যার জন্য ওভারঅল ব্রেকিং ফিডব্যাক অতটা ভালো না। আমার মতে suspension টা মোটা দেওয়া উচিত ছিল তাহলে ব্রেকিং ফিডব্যাক অনেক ভালো হতো।
স্পেয়ার পার্টসের দাম -
ইন্ডিয়ান বাইক হিসেবে এটার স্পেয়ার পার্টসের দাম তুলনামূলক বেশিই ।
TCI Unit -
আপনারা যারা 4V ABS ইউজার, তাদের মধ্যে হয়তো খুব কম ইউজার ই আছে যাদের এই বাইকের TCI Unit নষ্ট হয় নাই। আমারটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কোন কারণ ছাড়াই। পরবর্তীতে TVS বংশালের ইশতি ভাই সেটা Warranty এর আওতায় এনে রিপ্লেসমেন্ট করে দেয়। ধন্যবাদ তাকে।
সাইলেন্সার সাউন্ড -
এটার স্টক সাইলেন্সার সাউন্ড খুব ই সুন্দর। কিন্তু ঝামেলা অন্য জায়গায়। সেটা হলো এটার পার্টিশন ফেটে যায় আর তখন ঝনঝন সাউন্ড করে। আর এই স্টক সাইলেন্সার এর দামও কিন্তু কম নয় । যদিও ওয়ারেন্টি পিরিয়ড মধ্যে কিছু হলে TVS free change করে দেয়।
ইঞ্জিন হেড ঘামা -
এটার ইন্জিন হেডের গ্যাসকিট ভালো না। মবিল ল্যিক করে অনেকের। যাদের এই সমস্যা আছে তারা গ্যাসকিট চেইন্জ করে নিবেন। খরচ খুব একটা বেশি নয়।
এই ছিল আমার এই বাইকটি নিয়ে ভালো লাগা এবং খারাপ লাগা। আপনারাও আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ অয়ন হোসেন
T
Published by Shuvo Bangla