আমার জীবনের প্রথম বাইক পালসার ১৫০। বাইক চালানো শিখেছি আব্বুর Hero Honda 100 বাইকটি দিয়ে । তখন আমি ৮ম শ্রেণীতে পড়তাম। ভালোভাবে চালানো শিখে ২ বছর পর আমার জন্য একটি সেকেন্ড হ্যান্ড Bajaj Pulsar বাইক ক্রয় করি।
বাইকটি ছিল মামার। মামা মারা যাওয়ার পরে বাইকটি চালানোর কেউ ছিলনা তাই আমরা কিনে নেই। ২ বছর ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে দেই । বাইকটা আমার আনেক পছন্দের ছিল এখনো মিস করি।বাইকিং ভালো লাগার প্রথম কারন বাইক নিয়ে স্বাধীন ভাবে যে কোন জায়গায় ভ্রমন করা যায় । ট্যুর করে দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে পারি।
যখন জীবনের প্রথম বাইকটি Bajaj Pulsar 150 ক্রয় করি তখন Pulsar বাইকের আনেক চাহিদা ছিল। তাছাড়া আব্বু আম্মুর পছন্দের ছিল ।কয়েক জনের কাছ থেকে সাজেশন চাইলে তারা পালসার রেফার করেছিলেন।
২০১৯ সালে Suzuki Gixxer 155বাইকটি ক্রয় করি তার কারন হচ্ছে তখন ২০ হাজার টাকা ক্যাশব্যক অফার চলছিল এবং কিছু বড় ভাই সাজেশন করেছিল। তাছাড়া আমার ভাইয়ার ও বাইকটা পছন্দের। আমার জন্য বাইকটা পারফেক্ট মনে হয়েছিল।
বাইকটি ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে যশোর সুজুকি শোরুম থেকে কিনেছি। বাইকটি কিনেছিলাম ঈদের আগের দিন বিকাল বেলায়। হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাই বিকাল হয়ে গেছিল। যশোর আমার বাসা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে । বাইকটি কিনতে আমি, ভাইয়া, কাকু গেছিলাম। কাকু আর ভাইয়া আগে চলে গেছিলো আমি পরে গিয়েছিলাম ।
বাইকটি প্রথমবার চলানোর অনুভূতি ছিল অসাধারণ । আগে কখনো Suzuki Gixxer 155 বাইকটি চলাইনি ওই দিন প্রথম চালিয়ে একটু আনকমফোর্ট লাগছিল। কিন্তু খুব মজা ও লাগছিল।
ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি আকর্ষণ ছিল আমার। তাছাড়া বাইক রাইড করলে নিজেকে সতেজ লাগে। যদিও এখন প্রয়োজন ছাড়া তেমন একাটা রাইড করিনা।
আমার বাইকটিতে রয়েছে ১৫৫ সিসির একটি পাওয়ারফুল ইঞ্জিন । সিংগেল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। প্রতিদিন বাইক চালানোর সময় আমার মনের অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারবোনা। মন খারাপ থাকলে আমি বাইক চালাই মন ভালো হয়ে যায় ।
আমার বাইকটার বয়স ১ বছর, এর মধ্যে বাইকটিতে আমি ৪ বার সার্ভিস করেছি প্রতিবারই সুজুকি সার্ভিস সেন্টার থেকেই । ২৫০০ কিলোমিটার এর আগে ৪০ মাইলেজ পেয়েছি , ২৫০০ কিলোমিটার এর পরে ৪০+ মাইলেজ পাই ।
আমি মাসে একবার আমার বাইকটাকে ওয়াস করি । প্রতিদিন চালিয়ে বাসায় রাখার আগে ভালো করে পরিস্কার করি । মাসে একবার আমাদের এলাকার মেকানিক দিয়ে চেক করাই , কোন সমস্যা থাকলে সমাধান করি । হাওয়ায় প্রেসার চেক করি ইত্যাদি।
বাইকটিতে আমি Shell Advance ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড 20w40 । ইঞ্জিন অয়েল এর দাম ৪০০ টাকা। ইঞ্জিন অয়েলটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
গত বছর নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ মারাত্মক একটি এক্সিডেন্ট করছিলাম , তারপর আমার বাইকটি Suzuki Gixxer থেকে Suzuki Gixxer SF বানিয়ে ফেলি এবং Yamaha R15 v2 এর হ্যান্ডেল ইনেস্টল করি এবং LED লাইট ইনেস্টল করি । বাইকটি দিয়ে আমার সর্বোচ্চ স্পীড ১২৬।
Suzuki Gixxer 155 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
বাইকটি এই সেগমেন্ট এর সব থেকে গতি সম্পন্ন।
সকল প্রকার পাটস খুব সহজেই পাওয়া যায়।
ব্রেক যথেষ্ট ভাল।
খুব দ্রুত গতি তুলতে পারে।
সিটিং পজিশন পার্ফেক্ট।
Suzuki Gixxer 155 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
পিলিওন সিট খুব একটা সুবিধার না।
সামনের ডিস্ক ৩০০ মি মি হলে আরো ভালো হতো।
বাইকের কালার গ্রেড তেমন একটা ভাল না।
কিট এ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের মান কম।
হেড লাইটের আলো একদমই অল্প।
আমার Suzuki Gixxer 155 বাইটি দিয়ে এখনও লম্বা দুরত্বের ভ্রমণ করা হয়নি। তার কারন আমি এক্সিডেন্ট করছিলাম তাই বাসা থেকে এখন আনেক ভয় পায়। ৩ টা মারাত্মক এক্সিডেন্ট হয়েছে আমরা এই বাইক নিয়ে। একবার আমি, একবার ভাইয়া, আর একবার ভাইয়ার ফ্রেন্ড।
বাইকটি আসলেই অনেক ভালো আমি মনে করি এই সেগমেন্ট এর বেস্ট বাইক এটা। পারফেক্ট লুক, পারফেক্ট মাইলেজ, পারফেক্ট ব্রেক, ব্যান্ড ভ্যালু সবদিক দিয়ে একদম পারফেক্ট। ধন্যবাদ । Lets See Suzuki Gixxer price in Bangladesh here.
সুজুকির সব বাইকের দাম এবং সুজুকির শো-রুম সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসুন। নতুন নতুন মোটরসাইকেল এর বিষয়ে খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
লিখেছেনঃ তানজিম আহমেদ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।