Shares 2

Lifan KPR 165 Carb ৭০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - শেখ আলমগীর হোসাইন

Last updated on 18-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla

আজ আপনাদের সামনে Lifan KPR 165 Carb ভার্সন সম্পর্কে কিছু সত্য সবার সামনে তুলে ধরব। আশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি এই বাইকটিকে এখন পর্যন্ত ৭,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি, এই স্বল্প চালানোর কিছু ভাল এবং খারাপ দিক দুইটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

Lifan KPR 165 Carb ৭০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - শেখ আলমগীর হোসাইন 

lifan kpr 165 carb happy user

প্রথমেই শুরু করা যাক এর ভাল কিছু দিকগুলোঃডিজাইন ও লুকসঃ Lifan KPR এর আউটলুক সব সময়ই এগ্রেসিভ। ডিজাইন ও লুকস নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই লিফানের সবগুলো বাইকের ডিজাইন সবার চোখে লাগার মত আর এর লুকস সম্পূর্ন রূপে স্পোর্টস বাইকের। ১৬৫ কার্ব এর ৩টি ভিন্ন কালার এনেছে।

 ইঞ্জিনঃ ১৬৫ কার্ব লিকুইড কুল NBF2 ইঞ্জিন যার কারনে আগের ভার্সন গুলো থেকে অনেকটা আলাদা এবং ক্লাস ও গিয়ার অনেক স্মুথ। রেডি পিকআপ বেশি থাকায় আমার স্পিড তুলতে কোন সমস্যা হয় নাই। প্রথম অবস্থায় ইন্জিন প্রচুর হিট হয়েছে কিন্তু ২ হাজার কিলোমিটার পর তা আর পাইনি। ইঞ্জিন ওয়েল ফিল্টার ডেমেজ হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিবর্তন করা লাগেনি।

ব্রেকিং ও কন্ট্রোলিংঃ উভয় পাশে ডিস্ক ব্যবহার করা হয়েছে যার কারনে ব্রেকিং অসাধারন। এর পিছনে ১৩০ সাইজের CST টায়ার আপনাকে অতিরিক্ত কমফোর্ট দিবে। আমি ১২০/১২৫ স্পিডেও জাষ্ট দুইটা বাড়ি দিয়ে হাতের নাগালে পেয়েছি।

Lifan KPR165R NBF2 Test Ride Review By Team BikeBD

কমফোর্টঃ প্রতিটা বাইকেই কমফোর্টনেস থাকা প্রয়োজন আমি ১৬৫ কার্ব এ একদিনে অফরোড অনরোড মিলিয়ে ৪৯০ কিঃমিঃ চালিয়েছি এবং আমার কাছে বেশ আরামদায়ক মনে হয়েছে, শরীরে কোন ব্যাথা অনোভব হয় নাই, আর এই বাইকের সিটিং পজিশন এক কথায় অসাধারন 

লাইটঃ লিফানের সবগুলা বাইকেই প্রোজেকশন হেড লাইট ব্যবহার করা হয়েছে, কুয়াশা ছাড়া আপনাকে ভাল সাপোর্ট দিবে, আমি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নাইট রাইড দিয়েও কোন আলোসল্পতা পাই নাই।

বিল্ড কোয়ালিটিঃ চায়না বাইক হিসাবে এর বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ইন্ডিয়ান বাইক থেকে অসাধারন। নেত্রকোনা-কলমাকান্দা রোডের যেই অবস্থা সেখানেই যখন খুলে যায় নাই তাই আমি আশা করি ১ লাখ কিঃমিঃ তেও কিছুই হবে না। 

মাইলেজঃ আমি ব্রেকিং পিরিয়ড থেকেই সিটিতে ৩৪/৩৫ এবং হাইওয়েতে ৩৮/৪০ করে মাইলেজ পাই যা আমার কাছে ১৬৫ সিসি ইন্জিন হিসেবে যতেষ্ট মনে হয়েছে। গাজীপুর-নেত্রকোনা-সুনামগন্জ অনরোড অফরোড মিলিয়ে আমি প্রায় ৩৫ মাইলেজ পেয়েছি।

আফটার সেলস সার্ভিসঃ সবসময়ই সবার একটাই অভিযোগ ছিল আফটার সেলস সার্ভিস, পার্টস নিয়ে যা এখন সমাধান হয়েছে, আমি ৬৫০০ কিঃমিঃ তে মিরপুর সার্ভিস সেন্টারে প্রথম সার্ভিস করিয়েছি এবং সার্ভিস সেন্টারের লোকগুলো খুবই আন্তরিক ছিল। 

অনেক ভাল দিকের মধ্যে কিছু খারাপ দিক ও পেয়েছিঃ

মনোশকঃ  বাইকের পিছনের মনোশক অনেক হার্ডই মনে হয় (অনেকেই হর্নেট এর টা লাগিয়ে সমাধান পেয়েছে)। 

টার্নিং রেশিওঃ কেপিয়ারের টানিং রেশিও বেশি থাকায় শহরে এবং জ্যামের মধ্য আমাকে একটু বেশিই পেইন দিয়েছে। ১২০০ এমএল ইন্জিন অয়েলের কারনে অতিরিক্ত ২০০ এমএল অয়েল নিয়ে প্রতিনিয়তই গ্যারেজ এ যেতে হয়। প্রতিটা বাইকেই ভাল পারফরমেন্স এর জন্য ব্রেকিং পিরিয়ড, ভাল তেল এবং ভাল ইন্জিন অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্রেকিং মেনেছি প্রথম ১৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত শেল 20w40 ব্যবহার করেছি এবং তারপর থেকে এখন পর্যন্ত পেট্রোনাস 10w40 সেমি সিনথেটিক ব্যবহার করছি। সবকিছু মিলিয়ে দেখে আমার কাছে এই বাজেটের মধ্যে সেরা বাইক মনে হচ্ছে Lifan KPR 165 Carb বাইকটি। যারা কম বাজেটের মধ্যে স্পোর্টস লুকস ও কোয়ালিটি সম্পন্ন বাইক নিতে চান তারা নিশ্চিন্তে এই বাইকটি নিতে পারেন। ধন্যবাদ।   

লিখেছেনঃ শেখ আলমগীর হোসাইন   

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Ashik Mahmud Bangla