Shares 2

Lifan KPR 165 এর সাথে ভোলা ভ্রমন কাহিনী - আবরার অর্ক

Last updated on 13-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla

২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটি আর ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার মাঝখানে একদিন ছুটি নিলেই টানা তিন দিনের জন্য হাওয়া হয়ে যাওয়া যায় । অনেক আগে থেকে ইচ্ছা ছিল ভোলা যাওয়ার । তাই এবার ঠিক করলাম ভোলা ট্যুর দিবো এবং সাথে থাকবে আমরা Lifan KPR 165 কার্বুরেটর এডিশন

Lifan KPR 165 এর সাথে ভোলা ভ্রমন কাহিনী - আবরার অর্ক

Bhola Tour 

২৪ ডিসেম্বর অফিস শেষ করে রাত আটটার দিকে আমি, সিদ্দিক ভাই আর শুভ ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ঢাকা থেকে সরাসরি মিয়ামি যেয়ে থামি। এরপরে ফেনী-চৌমুহনী হয়ে চলে যাই মজু চৌধুরীর ফেরিঘাটে। এই পথটুকুতে আমাদের পেতে হয় অনেক অনেক কুয়াশা হলুদ ফগ লাইট থাকায় অনেক সাপোর্ট পাওয়া যায় রাস্তায়। তাছাড়া প্রচন্ড ঠান্ডা তো ছিলই। কুয়াশার কারণে ফেরি ছাড়তে দেরি করে প্রায় দুই ঘন্টা তাছাড়া ফেরি ছাড়ার পর নদী পার হতে ফেরিতে সময় লাগে চার ঘন্টা। উপরে যখন আমরা নামে তখন সকাল। সোজা চলে যাই ভোলা সদরে। সেখানে শোভন নামের এক কেপিআর ইউজার আমাদের জন্য হোটেল ঠিক করে দেয় হোটেলের নাম হোটেল এশিয়া । আমরা হট শাওয়ার নিয়ে রেস্ট নেই।  

lifan kpr 165 tour in bangladesh হালকা রেস্ট সেরে আমরা বিকালবেলা বের হই প্রথমে আমরা ভোলার সদরে অসাধারণ একটা মসজিদ দেখি । এরপর আমরা চলে যাই তেঁতুলিয়া রিভার ইকোপার্কে জায়গাটা বেশ সুন্দর । সেখান থেকে ফিরে আসি সন্ধ্যায় সরকারি মাঠে সুন্দর গোছানো একটা মাঠ সেখানে আমাদের সাথে বরিশাল থেকে এসে যুক্ত হয় সাগর সুর ভাই । এরপর আমরা সবাই মিলে চিকেন ফ্রাই চিকেন সাসলিক ও চিকেন বড়া খাই । এরপর অখাদ্য দুধ চা খেয়ে হোটেলে গিয়ে রেস্ট নেই । আজকে অনেক ঘুরতে হবে তাই সকাল সকাল উঠেই রওনা হই চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রাস্তায় অনেক কেকেআর ভাই আমাদের সাথে যুক্ত হন । বিখ্যাত জ্যাকব টাওয়ারের উপরে চলে যাই ওই মুহূর্তে আবার সূর্যগ্রহণ না চন্দ্রগ্রহণ চলছিল। জ্যাকব টাওয়ার থেকে নেমে রওনা দেই কুমিরা ঘাটের উদ্দেশ্যে ।  

Jakob Tower bhola 

কুমিরা ঘাট এর সাথে এক মাদ্রাসায় বাইক গুলো রেখে আমরা একটা স্পিডবোট ভাড়া নিয়ে রওনা হই ঢালচরের দিকে । অসাধারণ একটা জায়গা ঢালচর আমাদের সবার মন ভরে যায় সেখানে গিয়ে সেখানে এক রাত ক্যাম্পেইন না করতে পারার দুঃখ কোনদিনও যাবে না। ঢালচর থেকে আসার পথে আমরা নারিকেলবাগান ও কুকরিমুকরি ঘুরে আসি। সেদিন রাতেই ভোলা সদরে ফিরতে আমাদের রাত হয়। পরদিন সকালে আমার ঢাকা ফিরতে হবে, শুভ আর সাগর সুর ভাই থাকবেন বরিশাল আর আবু বক্কর ভাইয়ের চলে যাবেন শরীয়তপুর। কিন্তু সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় আমরা সকাল সকাল বের হতে পারি না । ঠান্ডা তার মধ্যে আবার বৃষ্টি। আমরা বারোটা থেকে একটার দিকে ভোলা সদর থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিই । 

group tour in bangladesh

 ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এ পৌঁছানোর পর দেখি ফেরি থেকে নামার সময় একটা ট্রাক আটকে গেছে সেখানে আমাদের দেড় ঘন্টার মত সময় নষ্ট হয় এরপর ফেরি লোড হয়েছে এবং নদী পার হতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা । ফেরি থেকে নেমে সরাসরি বরিশাল গিয়ে ছোট্ট একটা চা এর বিরতি নেই এবং শুভ আর সাগর ভাইকে বিদায় দিয়ে আমি আর সিদ্দিক ভাই মাদারীপুর চলে আসে মাদারীপুরে সিদ্দিক ভাইকে বিদায় দেই । এরপর আমি একা ভাঙ্গা মাওয়া হয়ে ঢাকা খিলগাও ফিরে আসি রাত ১১ টার মধ্যে ।  

Bhola group tour Bhola tour

 এই ভোলা ট্যুরে আমার সঙ্গী ছিলো Lifan KPR 165 কার্বুরেটর এডিশন । এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ সাপোর্ট দিয়েছে কেপিআর । অনেক গুলো রাইড ছিল রাতে । কেপিআরের স্টকের লাইট অসাধারণ ভিসিবিলিটি দিয়েছে । ডুয়েল ডিস্ক ব্রেক দিয়েছে অসাধারণ কনফিডেন্স । শক আবসর্বার গুলো দিয়েছে কম্ফর্ট রাইড । ১৭ লিটার ট্যাংক দিয়েছে বহু রাস্তায় চলার আত্মবিশ্বাস। হাইওয়েতে কেপিআর এর পারফরম্যান্স অসাধারণ কম্ফোর্টেবল ও সেটিং পজিশন খুব ভালো । ৭০২ কিলোমিটারে টুরে ৩৬ মাইলেজ পেয়েছি এবং ব্যবহার করছি অকটেন । 

লিখেছেনঃ আবরার অর্ক     

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Ashik Mahmud Bangla