Shares 2
Honda X-Blade 160 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - মুনছুর আলম
Last updated on 29-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
আমার নাম মো: মুনছুর আলম। আপনাদের সাথে আমি আমার Honda X-Blade 160 বাইকের মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো । আমার বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানায়। চাকরি সুবাধে আমাকে কুমিল্লা শহরে থাকতে হয়। আজকে আমি আমার ২য় বাইক Honda X-Blade 160 বাইক এর ১ বছর + রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
Honda X-Blade 160 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ
বাইকটি আমার ২য় বাইক এর আগে আমি বাজাজের ডিস্কভার ১০০ সিসি ব্যবহার করছি প্রায় ২ বছর। পরবর্তী আমি এই বাইকটি ২০২২ এর জানুয়ারি ২৮ তারিখ কুমিল্লা ক্যন্টনমেন্ট হোন্ডার শো-রুম থেকে ক্রয় করি। এই বাইকটা পছন্দ করার কারণ হচ্ছে এটার লুকিং, কন্ট্রোলিং এবং এর বেষ্ট মাইলেজ।
আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন এর মুল্য ছিল ১,৭৯,৫০০ টাকা । এই ১ বছর ৩ মাসে বাইকটি প্রায় ৮০০০ কিলোমিটার এর মত চলছে। এর মধ্যে ২ টা লং ট্যুর এবং ১ টা শর্ট ট্যুর দিয়েছি। লং ট্যুর ২ টা ১ম টা ছিল কুমিল্লা-সিলেট-শ্রীমঙ্গল টু কুমিল্লা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এর মত। এটাই ছিল বাইক দিয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে লং ট্যুর আর ২য় টি ছিল কুমিল্লা-ঢাকা-মাওয়া ফেরিঘাট টু ঢাকা- কুমিল্লা।
এই ট্যুরে আমি আমার বাইকে সর্বোচ্চ গতি ১২৯ তুলি মাওয়া এক্সপেস ওয়েতে। এছাড়া আমি সব সময় হাইওয়েতে ৭০-৮০ এবং অন্য জায়গায় ৪০-৫০ এর মত গতি মেনে চলি। আর সট ট্যুর টা ছিল কুমিল্লা টু চাঁদপুর। এ পযর্ন্ত বাইকের ৪ টা ফ্রী সার্ভিসিং ছিল সে গুলে শেষ করছি। আর শুধুমাত্র এয়ার ফিল্টার এবং প্লাগ ছাড়া কিছুই পরিবর্তন করা লাগে নাই।
শুরু থেকে এখন পযন্ত হুন্ডার অরজিনাল ইঞ্জিন অয়েল ১০w৩০ টাই ব্যবহার করতেছি। সাধারনত আমি দৈনিক ১৮-২০ কিলোমিটার এর মত চালাই। এখন পযন্ত আল্লাহ রহমতে কোন ধরনের এক্সিডেন্ট হয়নি। একটা জিনিস আমার কাছে খুব অবাক লাগলো ফেসবুকে অনেকে এই বাইকের জিপিএস ট্রেকার লাগালে নাকি ব্যাটারি বসে যাবে বলছিল।
কিন্তু আমি গত ১ বছরের উপরে ব্যাবহার করতেছি এবং সর্বোচ্চ ১২ দিন বাইকে চলে নাই তারপর ও ১২ দিন পর ১ম সেল্ফে চালু হইছে । বাইকে কোন ধরনের মোডিফাই করি নাই কারন আমার কাছে সিম্পল ভালো লাগে। শুধু বাইকের নিরাপত্তা সার্থে জিপিএস ট্রেকার লাগিয়েছি। সাথে ডিক্স লক ব্যবহার করি। এখন পযন্ত বাইকটিতে সর্বোনিম্ম ৪২ এবং সর্বোচ্চ ৫৮ মাইলেজ পেয়েছি।
আমার মনে হয় ১৬০ সিসি বাইকের মধ্যে এই বাইকই সর্বোচ্চ মাইলেজ দেয়। যার কারণে বর্তমান তেলে বাড়তি দামের কারণে এই বাইক অনেকেরই পছন্দ। বাইক রাইড করতে আমার অনেক ভালো লাগে যদিও চাকরির কারণে খুবই বেশি সময় পাওয়া যায় না।
Honda X-Blade 160 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- গুড কন্ট্রোলিং
- ভালো মাইলেজ (এভারেজ ৪৮-৫০)
- ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি
- গুড লুকিং
- দাম হিসেবে খুবই ভালো মানের
Honda X-Blade 160 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- হেড লাইটের আলো কম তাই হাইওয়েতে একটু সমস্যা হয়।
- সামনে চাকা চিকন।
- বিল্ড কোয়ালিটি কম মনে হলো কারণ প্যান্টের ঘষাঘষি তে রং উঠে যাচ্ছে।
- হর্ন এর শব্দ কিছুটা কম।
সবশেষে এইটুকু বলতে পারি যে আশা নিয়ে ১ বছর আগে বাইকটি কিনেছিলাম। কোন দিক থেকে নিরাশ হইনি। আশা করি ভবিষ্যতেও নিরাশ করবে না। বর্তমানে আমার বন্ধুদের মাঝে ৪ জন এই বাইক ব্যবহার করি । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মো: মুনছুর আলম
T
Published by Shuvo Bangla