Shares 2
Honda Livo 110 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - আব্দুর রহমান
Last updated on 09-Feb-2025 , By Shuvo Bangla
আমি আব্দুর রহমান, আমার জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ হলেও চাকরির সুবাদে ঝিনাইদহ তে থাকি । আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার Honda Livo 110 বাইকের মালিকানা রিভিউ । আমি প্রথম বাইক চালানো শিখি ২০১৫ সালে , আমার গ্রামের এক বন্ধু আমাকে চালানো শেখায় । তবে সে আমাকে শিখানোর আগে থেকেই আমি জানতাম মোটরসাইকেলের বিস্তারিত যে কোনটা ক্লাস আর কোনটা একসিলেটর,কিভাবে চালাতে হয় ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখেছিলাম । আমি যেই মোটরসাইকেলে চালানো শিখেছিলাম সেটা ছিল হিরো এইচএফ ডিলাক্স । বাইকের প্রতি ভালবাসার সূত্রপাত সেই তখন থেকে, প্রথম দিন বাইক চালানোর ফিলিংসটা এমন ছিল যে এভারেস্ট জয় করার মতো আনন্দ পেয়েছিলাম ।
তারপর আমি বাইক ভালবাসি মুলত প্রথমত এটা আমার কাছে শখের জিনিস , শখকে বাস্তবে পূরণ করার জন্যই আমি মূলত বাইক ভালবাসি । বর্তমানে আমি লিভো ১১০ সিসি ডিস্ক মোটরসাইকেলটি চালাই । আমি একটি প্রাইভেট ফার্মে জব করি আর আমাকে ডেইলি ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বা ১৫০ কিলোমিটার মোটরসাইকেল চালানো লাগে, যা মাসে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কিলোমিটার চালানো হয়ে যায় । মাইলেজ এবং লুকিং বিবেচনায় বাইকটি আমার জন্য পছন্দ করা, সে ক্ষেত্রে অফিস কলিগরা অনেক উৎসাহ দেন । আর আমার বাইকটি অফিসের এক স্যারের কাছ থেকে কেনা , মানে আমি বাইকটির দ্বিতীয় মালিক ।
![](https://adserver.bikebd.com/storage/app/files/1/2025/2.%20February%202025/yamaha%20february%202025%20300-x-250.webp)
স্যার প্রত্যেকদিন বাইকটি নিয়ে অফিস আসতো দেখে আমার ভালো লাগতো আমার ইচ্ছা ছিল যে এরকম যদি আমার একটা বাইক থাকতো । এক পর্যায়ে শুনতে পাই স্যার নাকি গাড়িটা বিক্রি করতে চায় , সুযোগটা লুফে নিলাম তাই শখের জিনিস হাতে লাগালে চলে এসেছে । আমি বাইকটি কিনেছিলাম ২০২৩ সালের মার্চ মাসে । ৯০ হাজার টাকা দিয়ে বাইকটি কিনেছিলাম আর এই সবগুলো টাকা কিন্তু আমার নিজের । যখন বাইকটি নিলাম আর সার যখন চাবিটা আমাকে দিল নিজেই নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করছিলাম অবশেষে একটা বাইকের মালিক হলাম । সেখান থেকে শুরু বাইক নিয়ে পথ চলা , তারপরে প্রথম দিন যখন বাইক চালাই মনের মধ্যে ভয় কাজ করছিল খুব সতর্কতার সাথে রাস্তার এক পাশ দিয়ে বাইক রাইড করছিলাম, এটা হচ্ছে আমার প্রথম দুই তিন দিনের অভিব্যক্তি, পরে আস্তে আস্তে ভয়টা অনেকটাই শিথিল হয়ে যায় । বর্তমান বাজারে অন্যান্য ১১০ সিসি বাইকের তুলনায় লিভো ১১০ সিসি বাইকটা কিন্তু একটু স্টাইলিস লুকিং, এটা আমার কাছে অনেক প্রিমিয়াম ফিল দেয় ।
আমার বাইকটি প্রায় চল্লিশ হাজার কিলোমিটার রানিং , মেজর সার্ভিস বলতে ২১ হাজার কিলোমিটারে চেইন স্পকেট পরিবর্তন করেছিলাম । বর্তমান বাজারে সব থেকে লো মেইনটেনেন্স এর একটা বাইক হচ্ছে আমার এই বাইকটি । মাঝে মাঝে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে চেইনে একটু লুব দিয়ে নেই , ১৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার এর মধ্যে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করে নেই ।
![](https://adserver.bikebd.com/storage/app/files/1/2025/1.%20January%202025/suzuki%20january%202025%20in%20article.webp)
আমি কখনো বাইরে আন অথরাইজ সার্ভিস সেন্টারে সার্ভিস করাই না । সার্ভিস সেন্টার থেকে হোন্ডার যে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল আছে সেটাই আমার বাইকের জন্য ব্যবহার করি । আগে দাম নিত ৬০০ টাকা এখন একটু বাড়িয়ে ৬২০ টাকা নেয় । এই বাইকে আমার সর্বোচ্চ টপ স্পিড ৯০ km/h । এই বাইকের ভালো খারাপ দিক বলতে অধিকাংশই ভালো দিক ।
Honda Livo 110 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- মাইলেজ কিং বলা চলে আমি ৪০ হাজার কিলোমিটার চালাচ্ছি তারপর এখনও ৬০ এর উপরে মাইলেজ পাই , সিটি রাইডিং এ ৫৫ তো পেয়েই থাকি ।
- লো মাইনটেনেন্স কস্ট , ইঞ্জিন অয়েল ছাড়া কোন খরচ নাই বললেই চলে ।
- হ্যান্ডেলটা অনেক বেশি ঘুরে , অল্প জায়গায় এই গাড়িটা ঘোরানো সম্ভব ।
- ৬ থেকে ৭ সেকেন্ডে ৬০ কিলো গতি উঠে যায় যেটা অনেক কনফিডেন্স দেয়
Honda Livo 110 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- পিছনের টায়ারটা চিকন তুলনামূলক এটা একটু মোটা করা যেতে পারতো ।
- হর্ন এর সাউন্ডটা তুলনামূলক কম, হাইওয়েতে নিজের গাড়ির হর্ন সাউন্ড নিজেই শুনতে পাই না ।
- রাতের বেলা রাইডিং এ আলো নিয়ে একটু ঝামেলা পোহাতেই হয় ।
- মিটার ডিসপ্লেতে গিয়ার ইন্ডিকেটর দেখা যায় না ।
- পিছনের সাসপেনশনটা খুব একটা স্মুথ না ।
বাইক নিয়ে আমি সর্বোচ্চ ২৭০ কিলোমিটার টানা চালিয়েছি পাঁচ ছয় ঘন্টায় তারপরও কোন সমস্যা হয়নি । অনেক ট্যুর করেছি , দুই দিনে তিনশত কিলোমিটার পর্যন্ত চালিয়েছি কোথাযও গিয়ে কখনও আটকে যাইনি । বাইকটা মূলত যাদের ডেইলি লং এ যাওয়া লাগে প্রতিদিন ৮০-১০০ কিলোমিটার উপরে বাইক চালানো লাগে বাইকটা মূলত তাদের জন্য। যারা লো মেইনটেনেন্স কস্ট, মাইলেজ এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি বাইক কিনতে চান তাদের জন্য এটাই বেটার । বি:দ্র: নিজের মনের অভিব্যক্তি থেকে সবগুলো কথা নিজের মত করে লিখেছি , ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইল । ধন্যবাদ ।
![](https://adserver.bikebd.com/storage/app/files/1/2023/October%202023/kixx%20in%20article%206th%20para%20october%202023.webp)
লিখেছেনঃ আব্দুর রহমান
T
Published by Shuvo Bangla