Shares 2
Honda Dream 110 ৫৫০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - সায়েম
Last updated on 31-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
আমি সায়েম ইসলাম বৃন্ত। অনার্স তৃতীয় বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। আমার বাসা মহেশপুর, ঝিনাইদহ। আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার জীবনে প্রথম বাইক Honda Dream 110 এই বাইকের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
Honda Dream 110 ৫৫০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ
ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন একটি বাইক ক্রয় করা। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়ার কারণে স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যেতে লাগলো। কথায় আছে চেষ্টা থাকলে উপায় হয়। অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে আমি এই বাইকটি ক্রয় করি। বাইকটির রং লাল। ক্রয় করার সময় আমি আর আমার একটি ছোট ভাই গিয়েছিলাম।
আমার দেখা দৃষ্টিতে এই বাজেটের সর্বশ্রেষ্ঠ বাইক হল Honda ব্রান্ড এর বাইকের যেমন মাইলেজ তেমন পারফরম্যান্স। এক কথায় অলরাউন্ডার , তাই আমি এই বাইকটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । বাইকটি নিয়েছিলাম আমাদেরই মহেশপুর হোন্ডা অফিসিয়াল শোরুম থেকে। বাইকটির মূল্য নিয়েছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। বাইকটি ক্রয় করা হয় ২০২৩ সালের ৬ জুলাই । এখন পর্যন্ত বাইকটি আমি ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার চালিয়েছি ।
এরই মধ্যে পাঁচবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি Honda 10w30 গ্রেডের মূল্য ৬২০ টাকা। বাইকটিতে ৯০০ মিঃমিঃ ইঞ্জিন অয়েল প্রয়োজন হয়। ৪০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাইকের ব্রেকিং পিরিয়ড ছিল। এই সময় বাইকটি আমি খুবই মনোযোগ সহকারে চালিয়েছি। এবং মাইলেজ পেয়েছি ৬০।
বর্তমানে বাইকের মাইলেজ পাচ্ছি ৭০ কিলোমিটার পার লিটার অকটেন। এই বাইকটিতে অবশ্যই অকটেন ব্যবহার করতে হবে। অকটেন ব্যাবহারে বাইকের ইঞ্জিন সর্বদাই ভালো থাকে। আমি এই বাইক নিয়ে ডে লং টুর দিয়েছি প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আমি তিনটি জেলা বাইক দিয়ে ভ্রমণ করেছি। ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি আর বাকি ৬১ জেলা ভ্রমণ করব।
সিঙ্গেল থাকা অবস্থায় বাইকের টপ স্পিড পেয়েছি ১০০ প্লাস। এখন পর্যন্ত বাইকে ৪ বার সার্ভিস করানো হয়েছে। বাইকটিতে টিউবলেস টাওয়ার হওয়ার কারনে অন রোড এবং অফরোড এ এর চালিয়ে অনেক মজা এবং সাসপেনশন অনেক ভালো।
Honda Dream 110 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- যাবতীয় সকল কাজের ব্যবহার করা যায়।
- লুকিং গ্লাস ও হ্যান্ডেলবার অনেক সুন্দর।
- কর্নারিং খুব ভালোভাবে করা যায়।
- বাইকটির ইঞ্জিন যথেষ্ট পরিমাণে ভালো।
- ফ্যামিলির জন্য বাইকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Honda Dream 110 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- বাইকের ড্রাম ব্রেক হওয়ার কারণে কনফিডেন্স পাওয়া যায় না ।
- লং রাইডে ব্যাক পেইন হয় ।
- বিল্ড কয়োলটি নরমাল ।
- হেডলাইট এর পাওয়ার কম।
- চিকন টায়ার।
বাইক নিয়ে এ পর্যন্ত বেশি দূর যাওয়া হয়নি। খুবই ইচ্ছা আছে সারা বাংলাদেশে এই বাইক নিয়ে ঘুরবো। আর বাইকের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাইক কিনলে অবশ্যই হোন্ডা কোম্পানির বাইক কেনাটাই ভালো কারণ হোন্ডা একটি জাপানিজ ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচার হওয়ার কারণে বাইকের প্রত্যেকটি পার্টস সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।
আজ পর্যন্ত কোন জিনিসই স্বয়ং সম্পূর্ণ না। যাদের বাজেট খুবই অল্প তারা এই বাইকটি নিতে পারেন। এই বাইক অত্যন্ত ভালো বাইক। এবং এই বাইকের পারফরম্যান্স অত্যন্ত ভালো। শেষ মুহুর্তে কিছু কথা না বললেই নয় কারন বাইক নিয়ে অবশ্যই সচেতন ভাবে রাইড দিতে হবে ওভার কনফিডেন্স নিয়ে বাইক চালানো যাবে না এবং সবসময় সেফটি গিয়ার পরিধান করে বাইক চালাতে হবে। এবং বাইক রাইড করলে সবসময় অবশ্যই সার্টিফাইড হেলমেট পরিধান করতে হবে। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ সায়েম ইসলাম বৃন্ত
T
Published by Shuvo Bangla