Shares 2
Honda CB Hornet 160R ১২,৫০০ কিলোমিটার রাইড - রাকিব হাসান
Last updated on 27-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ রাকিব হাসান অন্তু। ঢাকা কলেজে গণিত বিষয়ে অনার্স ৩য় বর্ষের একজন ছাত্র। বর্তমানে ঢাকার মুগদা পাড়ায় থাকি। আজ আপনাদের কাছে। আমার Honda CB Hornet 160R বাইকটির রিভিউ দিবো।
আমার বাবা মূলত একজন বাইক লাভার ছোট বেলা থেকেই। বাবা কে দেখেই মূলত বাইক চালানোর আগ্রহ হয়। বাবা একে একে অনেক বাইক চালিয়েছেন। কিন্তু ভয়ে ভয়ে কখনো শিখতে চাইতাম না। অনার্স ১ম বর্ষে উঠার পর প্রথম ১ ছোট ভাই এর ওয়াল্টন বাইক নিয়ে একটু শেখার চেষ্টা করি। এরপর বাবা তার Honda CB Shine 125 দিয়ে বাইক চালানো শেখান। এলাকায় কিছুদিন চালাই এরপর আস্তে আস্তে মেইন রোডে চালানো শুরু করি। এরপর থেকেই বাইক কেনার ভূত মাথায় চাপতে থাকে। আগ্রহ দেখে বাবা মা ও রাজি হন। মায়ের সাথে ঢাকা মটর শো তে গিয়ে কয়েকটি কোম্পানির বাইক টেস্ট রাইড করি।
সেখান থেকেই মূলত হর্নেটের প্রেমে পড়া। মূলত বাইকটির মাস্কুলার লুক, আর ব্রেকিং আমাকে মুগ্ধ করে। আর তখনি ডিসিশন ফাইনাল আমি CB Hornet কিনবো। এরপর ২০১৯ সালের ২০ মে ঢাকা বাংলামটরের উইংস বিডি শো রুম থেকে ১,৮৯,৮০০ টাকা মূল্যে Honda CB Hornet 160R Single Disc বাইকটি ক্রয় করি। ১২৫০০/= টাকা রেজিষ্ট্রেশন অফার থাকায় আর মাত্র ৪০০০ টাকা দিয়েই আমি শো রুম থেকে ২ বছরের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেই। মাত্র ১০ দিনে শো রুম আমাকে বাইকের একনলেজমেন্ট স্লিপ, ট্যাক্স টোকেন সরবরাহ করে।
সেই থেকে বাবা আর আমি বাইকটি রাইড করতে থাকি খুব আনন্দের সাথে। ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আমি ব্রেক ইন পিরিয়ড মেইন্টেইন করেছি। এ সময় ৫ আরপিএম এর মধ্যে রাইড করেছি এবং দ্রুত এক্সেলারেশন করিনি। ১ম ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি ৩০০ কিলোমিটার পর, এরপর যথাক্রমে ৫০০ কিলোমিটার, ৬০০ কিলোমিটার এবং এরপর ৮০০ কিলোমিটার পর পরিবর্তন করেছি। ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হোন্ডা 10w30 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেছি। এরপর মতুল সেমি সিন্থেটিক ব্যবহার করা শুরু করি। বর্তমানে বাইকটি ১২,৫০০ কিলোমিটার রাইড করা হয়েছে। খুব ভালো পারফর্মেন্স পাচ্ছি।
<<Click Here For Honda CB Hornet Test Ride Video Review>>
কোম্পানি নির্দেশিত সময়ে আমি বাইকের ৪টি ফ্রি সার্ভিস করিয়েছি উইংস বিডি থেকেই। এই পর্যন্ত দুইবার এয়ার ফিল্টার, সামনের এবং পেছনের ব্রেক সু পরিবর্তন করেছি। তারা প্রতিবার খুব ভালো মতো ফ্রী সার্ভিস গুলো দিয়েছেন। শুরুর দিকে মাইলেজ নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছিলো ২৭ কিলোমিটার পেতাম। কিন্তু সার্ভিস এরপর তা বেড়ে এখন সিটিতে ৩০-৩৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়ে তে ৩৫-৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার পাই। বাইকটি নিয়ে ৫ বার ঢাকা - ফেনী লং রাইড দেয়া হয়েছে। সিটি এবং হাইওয়ে তে পার্ফমেন্স খুব ভালো পেয়েছি।
ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে সর্বোচ্চ গতি পেয়েছিলাম ১১৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পিলিয়ন সহ। এর বেশী আর তোলার চেষ্টা করিনি তবে আরো এক্সেলারেশন হয়ত দেয়া যেত। আমার মতে যারা মিড বাজেটে ১৬০ সিসি বাইক চান সিটি এবং হাইওয়ে উভয় ট্যুরের জন্য Honda CB Hornet 160R রাইড করতে পারেন। ভালো ব্রেকিং চান এবং রাফ রাইডিং বা খুব গতির নেশা নেই তাদের জন্যে Honda CB Hornet 160R বেস্ট অপশন হবে।
বাইকটির ভালো দিকঃ
- বাইকটির লুক এক কথায় অসাধারণ
- ব্রেকিং এবং ব্যালেন্স আমার দারুণ লেগেছে
- পিলিওন এবং রাইডিং সিট অনেক কম্ফোর্ট
- সিটি এবং হাইওয়ে উভয় রাস্তায় ই ভালো পার্ফমেন্স
- ১৬০ সিসির বাইক গুলোর মধ্যে হর্নেটের মাইলেজ অনেক ভালো
বাইকটির খারাপ দিকঃ
- বাইকটির সুইচ গুলো আরো উন্নত মানের দেয়া যেতো
- বাইকটির বিল্ট কোয়ালিটি খুব উন্নত না
- স্টক হেডলাইটের আলো যথেষ্ট কম, যা রাতে রাইডের জন্য উপযুক্ত না
- বাইকটির ব্যাটারি অনেক দুর্বল। হোন্ডা ব্রান্ড আরো পাওয়ারফুল ব্যাটারি ব্যাবহার করতে পারতো
- স্টক হর্ণটির সাউন্ড অনেক কম, যা হাইওয়ে রাইড এর জন্যে যথেষ্ট নয়
তবে সব দিক মিলিয়ে আমার ১২,৫০০ কিলোমিটার রাইড এ আমি বাইকটি নিয়ে খুব খুশী। আমার মনে হয়েছে আমি এই বাজেটে বাংলাদেশের সেরা বাইকটি কিনেছি। বাইকটি নিয়ে আরো বহুপথ পাড়ি দিতে চাই। হোন্ডা বাইক দাম এর সম্পর্কে ডিটেলস জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
লিখেছেনঃ মোঃ রাকিব হাসান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Raihan Opu Bangla