Shares 2
Honda CB Hornet 160R ১০০০০ কিলোমিটার রাইড - ইশতিয়াক
Last updated on 29-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
আমি ইশতিয়াক আহমেদ । আমি মানিকগঞ্জ জেলার ,সাটুরিয়া থানায় বসবাস করি | আমি Honda CB Hornet 160R বাইকটি ব্যবহার করি | বাইকটি আমি এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ১০,০০০+ কিলোমিটার । আজ আমি আপনাদের কাছে আমার বাইকটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
আমার ছোট থেকেই বাইকের প্রতি অনেক আগ্রহ । আমি বড় হয়ে একটা মোটরসাইকেল কিনব সেটা হবে হোন্ডা ব্রান্ড এর । এর কারন আমি যখন ক্লাস ৫ এ পড়াশোনা করতাম তখন থেকে মোটরসাইকেল চালানো শিখি । আমি আমার কাকার Honda CD 80 দিয়ে চালানো শিখছি।
তারপর থেকে বাইকের প্রতি আরো অনেকটাই নেশা বেড়ে গেল। আমার আরেকটা কাকার তখন Hero Honda Glamour ছিল। তো হঠাৎ করে একদিন বাইকটা কাকার কাছে চেয়েছিলাম কিন্তু দিয়েছিল না। তারপর আমার মা সেটা জানতে পারল।
মা এই বিষয়টা বাবার কাছে বলল। বাবা বলল এসএসসি পরীক্ষা শেষ কর তারপরে বাইক কিনে দেব । এসএসসি পরীক্ষা শেষ করলাম। এরপর আমি সব সময় ইউটিউবে Honda CB Hornet 160R এর রিভিউ দেখতাম।
বাইকবিডির রিভিউ দেখতাম। বাইকবিডি ইউটিউব চ্যানেলে তখন হর্নেট এর রিভিউ টা ছিল। সেটা দেখে ভালো লাগলো। এরপর আল্লাহর রহমতে রেজাল্ট ভাল হল। তারপর বাবা বলল কোন বাইকটা কিনবি ।
আমি তখন হর্নেট পছন্দ করলাম। 03-06-2020 এ আমি আর বাবা গেলাম হোন্ডার শোরুম আজাদ মটরস, মানিকগঞ্জ থেকে হর্নেট এর CBS ভার্শন এর বাইকটি ক্রয় করতে । শোরুমে যাবার পর দেখি একটাই বাইক আছে।
বাইকটি ক্রয় করলাম ১,৮৯,০০০ টাকা দিয়ে । তারপর বাইকটি চালিয়ে বাসায় নিয়ে আসলাম। কিনে আনার পর সারাদিনই বাইক চালিয়েছি । ওই দিনটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।
বাইকটিতে রয়েছে -
১৬২.৭১ সিসি এয়ার কুল্ড , ৪ স্টোর্ক ইঞ্জিন থেকে ১৫.০৪ বি এইচ পি পাওয়ার উৎপন্ন করে ৮৫০০ আরপিএম এ । ৫ টি গিয়ার বাইকের ওজন ১৪০ কেজি । পিছনের চাকা 140/70-17 এতে কর্নারিং করে অনেক মজা পাওয়া যায় ।
সামনের চাকা 100/80-17। আরো রয়েছে LED Headlight যা রাতের বেলায় দেখতে অনেক সাহায্য করে। বাইকটিতে CBS ব্রেকিং থাকায় অনেক ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। CBS ব্রেকিং হচ্ছে পিছনের ব্রেক ধরলে সামনের টাও অটোমেটিক কাজ করে। এর জন্য CBS ব্রেক অসাধারণ। আর বাইকটির ইঞ্জিন শব্দ অনেক সুন্দর ।
ব্রেকিং পিরিওড -
বাইকটির ব্রেকিং পিরিওড মেন্টেন করেছি ৪০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রথম অবস্থায় ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি ৮০০ কিলোমিটার পর পর। ৯০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত Honda 10W30 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেছি।
এরপর ব্যবহার করলাম Liqui Moly 10W30 Synthetic Technology এই ইঞ্জিন অয়েল এর পারফরম্যান্স টা ভালই পাচ্ছি। বাইকে ৪ টা ফ্রি সার্ভিস এবং ৩ টা পেইড সার্ভিস করেছি । বাইকের সার্ভিস গুলো করেছি মানিকগঞ্জ এর আজাদ মটরস থেকে।
বাইকের যত্নের কথা বলতে গেলে বাইকটিকে আমি আমার নিজের চাইতে বেশি যত্ন করি। যখন যা লাগে সময় মতো দেই।
মাইলেজ -
অকটেন এ হাইওয়েতে মাইলেজ পেয়েছি ৪৫+। লং ট্যুরে বেশি মাইলেজ পেয়েছি ।
বাইকটি নিয়ে ট্যুর করেছি টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা । বাইকের টপ স্পিড পেয়েছি ১২৬ ঢাকা - টাঙ্গাইল হাইওয়েতে। হ্যান্ডেলিং পজিশন ভালো হওয়ার জন্য ব্যাক পেইন তেমন হয় না।
Honda CB Hornet 160R এর ভালো দিকসমূহ -
- সিটিং পজিশন।
- CBS ব্রেকিং সিস্টেম।
- কন্ট্রোলিং
- হ্যান্ডেল বার পজিশন।
- ইঞ্জিনের স্মুথনেস
- LED Headlight
Honda Cb Hornet 160r এর খারাপ দিকসমূহ -
- চেইন অনেক শব্দ করে।
- প্লাস্টিক বডি ভালো লাগেনি।
- রেডি পিকআপ নেই।
বাইকটি নিয়ে আমার চূড়ান্ত মতামত হলো -
এই বাইকটি সবদিকেই আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। বিশেষকরে এই বাইক এর ব্রেকিং সিস্টেম এবং মাস্কুলার লুকস । ধন্যবাদ ।
T
Published by Shuvo Bangla