Shares 2
Hero Hunk 150 মালিকানা রিভিউ - শিশির হাসান
Last updated on 09-Jul-2024 , By Saleh Bangla
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি মোঃ শিশির হাসান, আমি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়ি । আমি ভার্সিটিতে যাওয়া আসা জন্য এবং বন্ধুরা মাঝে মাঝে ভ্রমনে যাওয়ার জন্য আমার Hero Hunk 150 সিসি বাইকটি ব্যবহার করে থাকি । মূলত আমি একজন বাইক প্রেমি মানুষ । আমি Hero Hunk 150 সিসি বাইক রাইড করছি গত ১ বছর ধরে । আজ আমি আপনাদের সাথে বাইকটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব ।
Hero Hunk 150 মালিকানা রিভিউ
লুকিংঃ আসলে Hero Hunk 150 সিসি বাইকটি অনেক বেশি মজবুত এবং এর ডিজাইন ও লুকিংটা আকর্ষণীয় আমার কাছে । আমার কাছে বাইকটির ফ্রন্ট সাইড ব্যাক সাইড দুটোই বেশ ভালো লাগে । বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কটা অনেক বড় আর একটু আলাদা শেপ এর তাই দেখতেও দারুন লাগে । অনেক মাচো একটা ফিলিংস দেয় । বডি বিল্ডার বা অনেক পেশীবহুল টাইপের বাইক ।
ইঞ্জিনঃ বাইকটিতে রয়েছে ১৪৯সিসি, এয়ারকুল্ড ইঞ্জিন, যা থেকে প্রায় ১৪.৮ পিএস আর ১৪ টর্ক শক্তি উৎপন্ন করে । যা আপনাকে দিবে একটি দুর্দান্ত পারফরমেন্স । এই বাইকটিতে রেডি পিকাপ পাবেন না । তবে স্টার্ট দেয়ার পর রেডি পিকাপ ছাড়াই দারুন গতিতে ছুটতে পারবেন । এটি দিয়ে আমি ১০,০০০ আরপিএম এ চালিয়েছি আবার লো আরপিএম লো গিয়ারে চালালেও আপনি কোন প্রবলেম ফেস করবেন না, যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আমি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৩ কিমি প্রতি ঘন্টায় চালিয়েছি, তখনও আমি কোন ভাইব্রেশন ফিল করিনি। আর আমি জানি বাইকটি দিয়ে আরও স্পীড তোলা সম্ভব । এই বাইক দিয়ে আমি পিলিয়ন নিয়ে অনেক ভাঙ্গা রাস্তায়ও খুব আরামে চালিয়েছি। এই বাইকটির ইঞ্জিনের সাউন্ড আপনাদের অনেক ভালো লাগবে । আমার মতে Hunk দিয়ে লং জার্নি এবং দীর্ঘ স্থায়ীত্তের জন্য খুবই আদর্শ একটি বাইক । আর আমি এখন পর্যন্ত ১ বছর এক মাসে ১২০০০+ কিমি চালিয়েছি কোন রকম বড় সমস্যা ছাড়া ।
Hero Hunk 2019 - First Impression Review
ফুয়েল এবং ইঞ্জিন অয়েলঃ আমি প্রথম থেকেই ফুয়েল হিসেবে অকটেন ব্যবহার করি । আর ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে Mobile super 4T অয়েল ব্যবহার করছি । যার জন্য গাড়ির সাউন্ড খুবই সুন্দর, স্মুথ এবং এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কোন প্রবলেম এর সম্মুখীন হইনি।
মাইলেজঃ আমি ঢাকাতে সবসময় ৩৭ কিমি প্রতি লিটার, আর হাইওয়েতে ৪০/৪২ কিমি প্রতি লিটার পেয়েছি ।
কন্ট্রোলিং এবং ব্রেকিং সিস্টেমঃ আমি মনে করি বাইকটির কন্ট্রোলিং ভালো এখন পর্যন্ত খুব ভালো পাচ্ছি । এই বাইকের সামনে পিছনে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম । এটির ব্রেকিং সিস্টেম খুবই ভালো যা নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে ব্রেক করতে সক্ষম । তবে তারা বাইকটির ব্রেকিং আরও স্মুথ করতে পারতো ।
সাসপেনশনঃ বাইকের এর সাসপেনশন খুবই চমৎকার । বিশেষ করে পিলিয়ন নিয়ে রাইড করলেও আপনার তেমন কোন সমস্যা হবে না । আর সিঙ্গেল রাইড বিশেষ করে অফ রোডে ভালো পারফর্ম করে। আর এই সাসপেনশনটি গাড়ির ওজন বহন করার জন্য যথেষ্ট। এটির কারনে আপনি সব ধরনের রাস্তায় এমনকি হাই স্পীডেও খুব ভালো পারফর্মেন্স পাবেন।
রিম এবং টায়ারঃ দুটি চাকাই টিউবলেস টায়ার। যার কারনে গাড়ির হাইট অনেক বেশি।
সামনে আর পিছনে লাইটিং সিস্টেমঃ গাড়িটির লাইটিং সিস্টেম অনেক ভালো,রাতে আমি বেশ ভালই ফিডব্যাক পেয়েছি তবে এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল টেইল লাইট। ওয়েট এবং ভাইব্রেশনঃ বাইকটির ওজন ১৪৬ কেজি হওয়াতে আমি ৯৩ কিমি স্পীডে চালিয়েও সেভাবে কোন ভাইব্রেশন অনুভব করিনি ।
অসুবিধাঃ এই বাইকটির প্রধান সমস্যা এর হাইট এবং ওজন যা কম হাইটের রাইডারদের একটু হলেও সমস্যায় ফেলবে । আরেকটি সমস্যা হল টায়ার । রেয়ার টায়ার অনেক চিকন । এছাড়া ফুয়েল মিটার এনালগ যার জন্য অনেক সময় ফুয়েল আছে কিনা বা কতটুকু আছে সেটা নিয়ে প্রব্লেম এ পরতে হয় । বাইকটির সুইচ গিয়ার গুলো আরো ভালো করা উচিৎ ছিল । এছাড়া আর তেমন কোন প্রবলেম আমি এখন পর্যন্ত পাইনি । সবশেষ এ আমি বলবো বাইকটি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে বিশেষ করে এর স্মুথনেস আর সাউন্ড । এর বিল্ড কোয়ালিটিও অসাধারণ । আমার মতে ১৫০ সিসির মধ্যে সেরা একটা বাইক । আর বাইকটি এক হাতে যত্ন সহকারে চালালে ৮-১০ বছরেও কিছু হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
লিখেছেনঃ শিশির হাসান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Saleh Bangla