Shares 2
Pulsar NS160 অফরোডে অনেক কম্ফোর্টেবল বাইক - বিকাশ
Last updated on 27-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla
আমি অমর্ত্য রায় বিকাশ। আমি একজন শখের মটো-ট্রাভেলার। রাংগামাটি জেলায় আমার বসবাস। আমি Bajaj Pulsar NS160 বাইকটি ব্যবহার করছি । আজ আমি আমার Bajaj Pulsar NS160 বাইকটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Bajaj Pulsar NS160 মুলত ১৬০সিসি নেকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের এই বাইকটি আমার কেনার কারণ হলো ট্রাভেলিং করার জন্য। এর লুকস এবং পারফর্মেন্স ইয়ং জেনারেশনের অধিকাংশ যুবকদের আকর্ষণ করে। আমি এই বাইক নিয়ে আমার ১২০০০কিলোমিটার এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাচ্ছি । শুরুতে এর পারফর্মেন্স এর ব্যাপারে কিছু কথা ।
Bajaj Pulsar NS160 সিসি সিংগেল সিলিন্ডার ৪ সট্রোক ওয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। যা ১৫.৩ বিএইচপি ৮৫০০ আরপিএম এ এবং ১৪.৬ এনএম টর্ক ৬৫০০ আরপিএম উৎপন্ন করে। যার ফলে খুব দ্রুত গতি তুলতে পারবেন প্রয়োজন অনুযায়ী।
Click To See Bajaj Pulsar NS160 Price In Bangladesh
এর ফ্রন্ট টায়ার ৮০/১০০/১৭ এবং রেয়ার টায়ার ১২০/৮০/১৭ (উভয় টায়ার টিউবলেস) এই সেগমেন্টে এই বাইকের চাকা তুলনা মূলক অনেক চিকন। কিন্তু চিকন চাকা হওয়া সত্ত্বেও পিছনের চাকা আপনাকে ভালো স্টেবিলিটি দিবে। কিন্তু সামনের স্টক ট্যায়ার ৯০/৯০/১৭ হলে ভালো হতো।
ফ্রন্ট ব্রেকে রয়েছে ২৪০ এমএম ডিক্স ব্রেক, এবং রেয়ার ব্রেকে রয়েছে ১৩০ এমএম ড্রাম ব্রেক। যা এই সেগমেন্টে কম হলেও রোডে মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্স দেয়। এর ওজন ১৪২ কেজি হওয়ার কারনে হাইওয়ে উচ্চ গতিতে বাইক স্টেবল থাকে। এর থ্রি পার্ট হ্যান্ডেলবার এবং সিট হাইট উচ্চ হওয়ার কারনে কম্ফোর্ট ভাবে রাইড করা যায়।
Click To See Bajaj Pulsar NS160 Test Ride Review
যাদের উচ্চতা ৫ ফিট ৬ এর কম তাদের বাইকের উচ্চতার কারনে রাইড করতে সমস্যা হতে পারে। আমি সাধারনত পাহাড়ি এলাকায় রাইড বেশি করে থাকি। এতে আমি পাহাড়ি এলাকায় মাইলেজ পেয়েছি ৩৫-৩৮ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পেয়েছি ৪০-৪২ কিলোমিটার প্রতি লিটার। আমার মতে এয়ার ফিল্টার এবং টায়ার প্রেসার মেইনটেইন করে বাইক চালালে ভালো মাইলেজ পাওয়া যাবে।
সাধারণত বাজাজের সকল বাইকের বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হয়ে থাকে, এই বাইকটিও ব্যতিক্রম নয়। সব দিক মিলিয়ে আমার বাইকটি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু এর কিছু খারাপ দিক ও রয়েছে আমি এর খারাপ এবং ভালো দিক বলবো ।
Click To See ALL Bajaj Bike Price In Bangladesh
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- তুলনামূলক চাকা চিকন
- ব্রেকিং ভালো কিন্তু এই সেগমেন্টে সেরা নয়
- লো স্পিড কর্নারিং এ সমস্যা হয়
- আন্ডারবেলি এক্সস্ট এর কারনে বাইকের সাউন্ড ভালো আসেনা
- ইঞ্জিন ওয়েল তুলনামূলক অনেক বেশি লাগে। ১৩০০ এমএল, এবং ওয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করলে ১৩৫০এম এল, যা খুব বেশি বিরক্তিকর
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- এর হেডলাইটের পাওয়ার এই সেগমেন্টে ভালো
- ১৫.৩ বিএইচপি হওয়ার কারনে ০-১০০ খুব দ্রুত উঠানো যায়
- বাইকটি নরমাল রাইড এবং অফরোড রাইডে অনেক কম্ফোর্টেবল
- হাই স্পিড করনারিং ভালভাবে করা যায়
- এর লুকস অনেক আকর্ষণিয়
- আন্ডারবেলি এক্সস্টের কারনে বাইক অনেক স্টেবল থাকে
- বাইক এর বিল্ড কোয়ালিটি ভালো
পরিশেষে আমি এই বাইক নিয়ে সন্তুষ্ট সবাই হেলমেট পরিধান করে বাইক চালাবেন এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করে বাইক রাইড করবেন। হ্যাপি বাইকিং। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ অমর্ত্য রায় বিকাশ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Raihan Opu Bangla