Shares 2
Bajaj Pulsar 150cc ইঞ্জিন ওয়েল গ্রেড 20W50 - সাকিব ইসলাম
Last updated on 27-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla
আমি সাকিব ইসলাম । বর্তমানে Bajaj Pulsar 150cc বাইকটি ব্যবহার করতেছি । বর্তমানে বাইকটি ২৫০০০ কিলোমিটার চলছে । আমি বরিশাল জেলার উজির পুর থানায় বসবাস করি । এটা আমার জীবনের প্রথম বাইক। বাইকটি নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট, বাইকটি কখনো আমায় নিরাশ করেনি ।
ছোট বেলা থেকে বাইক ভালো লাগে । বাইকে করে খুব সহজে স্বল্প সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায়। ছোট বেলা থেকেই Bajaj Pulsar 150cc ভালো লাগে তাই ভাবনা চিন্তা করে পালসার ই নিলাম । বাইকটি আমি কলেজ যাতায়াত ও পারিবারিক ছোট বড় কাজে যাতায়াত হিসেবে ব্যবহার করে থাকি ।
আমি যখন Bajaj Pulsar 150cc বাইক ক্রয় করি তখন এর বাজার মূল্য ছিলো ১,৭২,৫০০ টাকা , বাইকটি বরিশালের Park Bangla শো-রুম থেকে ক্রয় করি । আমি বাইক ক্রয় করি রমজান মাসে আর ওইদিন ২৫ রমজান ছিলো।
Click To See Bajaj Pulsar 150cc Single Disc Price In Bangladesh
কাকা ও খালাতো ভাইয়ের সাথে বাইকের শো-রুমে গেলাম । তখন Ebony Black রঙের বাইকটি একটু রেয়ার ছিলো বরিশালে। তাই সেজন্য একটু চিন্তাও হচ্ছিলো, ভেবে রাখলাম বরিশালে এই কালার না পেলে মাদারিপুর শো-রুমে যাবো । কিন্তু কপাল ভালো ছিলো বরিশাল শো-রুমে গিয়ে মাত্র ৩ টা Ebony Black রঙের বাইক পাই আর ১টি বেছে নেই ।
প্রথম বার বাইক চালানোর অনুভূতি অনেক ভালো ছিলো । খুব এক্সাইটেড ছিলাম কিভাবে কি চালানো শুরু করবো । শো-রুম থেকে আমি চালিয়ে নিয়া আসলাম বাড়িতে । প্রথম দিন অনেক রাইড করলাম । বাইকটি আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তৈরি হয়েছে, কিন্তু ওই সময়ে বাংলাদেশে কোন ABS বাইক ছিলোনা ।
পালসারেও যদি ABS দেওয়া হতো তবে অনেক ভালো হতো । বাইকটির আধুনিক ডিজাইন, লুকিং সব কিছুই আমার কাছে আকর্ষনীয় মনে হয়েছে। ডিজিটাল মিটার, হ্যালোজেন হেড লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট ও এলইডি ব্যাক লাইট অনেক ভালো ।
এছাড়া এটায় আছে অনেক বেশি ক্যাপাসিটির ফুয়েল ট্যাংক। এই পর্যন্ত বাইকটি আমি বেশ কয়েকবার সার্ভিসিং করিয়েছি । আমার এলাকার নিকটস্থ একজন অভিজ্ঞ মেকানিক আছে তার থেকেই সব সময় সার্ভিসিং করিয়েছি এবং সেই মেকানিক সব কিছু পর্যবেক্ষন করে দেখে শুনে তারপর কাজ করে থাকে।সার্ভিসিং করানোর সময় আমি বাইকের পাশে থেকে সবকিছু চেক করে কাজ করাই । ইঞ্জিনের কাজ শুধুমাত্র ১ বার করছে, শুধুমাত্র ট্যাপেট ক্লিয়ারেন্স এডজাস্ট করছে । ২৫০০ কিমি এর আগে বাইকটি থেকে মাইলেজ ৩৫+ পেতাম । এর পর থেকে গ্রামের রাস্তায় ৪১-৪২ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ আর হাইওয়েতে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেতাম আর এখনো এরকম ই আছে ।
আমি নিয়মিত ১০০০-২০০০ কিলোমিটার পর পর বাইকের স্পার্ক প্লাগ ও এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করে থাকি । নিয়মিত ওয়াশ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি সব সময় । যথা সময়েই ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করে বাইকের পারফরম্যান্স ধরে রাখছি আজ পর্যন্ত । আমি বাইকে সবসময় Super V 20w50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে থাকি । মোটামুটি অনেক ভালোই একটা ইঞ্জিন অয়েল এটা ।
Click To See All Bajaj Bike Price In Bangladesh
বাইকের হাইড্রোলিক ব্রেকের মাস্টার সিলিন্ডার এর বাকেট ১ বার পরিবর্তন করা হয়েছে , ব্রেক অটো কাজ করতো তাই এটা চেঞ্জ করা লাগছে । ক্লাচ ক্যাবল ২ বার ছিড়ে যাওয়ায় ক্লাচ ক্যাবল পরিবর্তিন করতে হয়েছে । ব্রেক সু ১ বার চেঞ্জ করছি । পিছনের চাকার নজেল ফেটে যাওয়ায় নজেল পরিবর্তন করছি ১ বার । কম হাওয়া ছিলো তাই নজেল ফাটছে । ব্রেক অয়েল ১ বার পরিবর্তন করছিলাম।
বাইকের কোথাও কোন মডিফাই করা হয়নি । বডিতে ২-৩ টা পালসার লেখা স্টিকার লাগিয়েছি শুধু । বাইকটি নিয়ে বরিশাল টু ঝালকাঠি হাইওয়েতে পিলিয়ন সহ ১১৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা স্পিড পেয়েছি ।
Bajaj Pulsar 150cc বাইকের কিছু ভালো দিক -
- মাইলেজ যথেষ্ট ভালো
- প্রশস্ত সিট
- ব্রেকিং সিস্টেম অসাধারন
- উচু নিচু রাস্তায় এটার সাসপেনশন খুব ভালো কাজ করে
- বৃষ্টির মধ্যে চালালে কখনো অফ হয়ে যায়না
- যথেষ্ট পাওয়ারফুল ইঞ্জিন
- এটার বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো
- গ্রামের রাস্তার গর্তে পরে গেছি অনেকবার কিন্তু কখনো রিম বা চেসিস বাকা হয়নি
Bajaj Pulsar 150cc বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- লং রাইডে ৫০+ কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের সাউন্ড পরিবর্তন হয়
- ১০০০ কিমিতে ১-২ বার চেইন এডজাস্ট করাই লাগে
- হেডলাইটের আলো খুবই কম
- ইঞ্জিন একটু হিট বেশি হয় বলে মনে হচ্ছে আমার
- যদি অয়েল ফিল্টার থাকতো তাহলে ভালো হত
কোন অয়েল ফিল্টার না থাকায় ইঞ্জিন হিটিং ইস্যু থেকেই যায়। তবে শুনছি ইঞ্জিনের ডান পাশ খুলে নাকি অয়েল স্ট্রেইনার আছে সেটা পরিষ্কার করলে ভালো। বাইকটি নিয়ে লং ট্যুর দিয়েছি ২০১৯ এর ঈদের দিনে । এক দিনে প্রায় ৬ জেলা ট্যুর দিয়েছি, ২৩০ কিলোমিটার । ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ভালোই ছিলো কিন্তু ৪০-৫০ কিলোমিটার পর সাউন্ড পরিবর্তন হয় । সাউন্ড পরিবর্তন হলেও পারফরম্যান্স একই ছিলো । পারফরম্যান্স ড্রপ করেনি ও রাস্তায় কখনো হতাশ করেনি আমায় ।
বাইকটি আমি এক হাতে ব্যবহার করে থাকি, ১৫০ সিসি সেগমেন্ট এ ভালো একটি বাইক । কখনো রানিং এ কোন ফল্ট হয়নি, এটার সার্ভিসে আমি সন্তুষ্ট । খুব ভালো সার্ভিস পাচ্ছি এখনো । যদি কেউ কনফিউশনে থাকেন যে Bajaj Pulsar 150cc নিবেন কিনা তাহলে আমি বলবো চোখ বন্ধ করে পালসার নিতে পারেন । আশাকরি ভালো হবে । ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ সাকিব ইসলাম
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Raihan Opu Bangla