Shares 2

Bajaj Pulsar 150 Twin Disc মালিকানা রিভিউ - নাজমুস সাকিব

Last updated on 30-Jul-2024 , By Shuvo Bangla

আমি নাজমুস সাকিব দিহান। আমি একটি Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আমি আজ আপনাদের সাথে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

bajaj-pulsar-150-twin-disc-blue

আমার বাসা মৌলভীবাজার কুলাউড়া , আমার জীবনের প্রথম বাইক Tvs Stryker 125 এই বাইকটা দিয়ে জীবনের প্রথম বাইক চালানো শিখেছি । বাইকটা হতে পারে 125cc কিন্তু এই 125cc বাইকের মধ্যে কি আনন্দ এইটা বোঝানো সম্ভব নয় ।

আজ থেকে তিন চার বছর আগে বাইক চালানো শিখি । তারপরে আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় । আমি একজন ভ্রমণ প্রেমিক । ভ্রমন করতে খুবই ভালো লাগে আর তা যদি হয় বাইকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ।

আমার বর্তমান বাইকটির প্রতি আগে থেকে একটি ভালো লাগা কাজ করে । এছাড়া পালসার খুব একটা কমন বাইক যার ফলে যে কোন জায়গায় সার্ভিস বা স্পেয়ার পার্টস পাওয়া যায় । এইসব দিক চিন্তা করে আমি বাইকটি নিয়েছি ।

বাইকটির দাম ১৯২,৯৫০ টাকা এবং বাইকটি আমি মৌলভীবাজার বাজাজ এর শোরুম থেকে কিনেছিলাম । বাইক কিনতে যাবার দিন বাইক কেনার কোন চিন্তা ছিল না । আমি শোরুমে যাই বাইক দেখতে কিন্তু গিয়ে বাইকটি পছন্দ হয়ে যায় এবং ওই দিন বাইক কিনে নিয়ে আসি ।

বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি মুখে বলা বা লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । এটা শুধু একজন বাইকারই বুঝবে আমার বাইকটি চালাবার পেছনের মূল কারণ কলেজে যাওয়া এছাড়া পরিবারের বিভিন্ন কাজে এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে ভ্রমণ করার জন্য তবে বাইক চালানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কলেজ যাতায়াত ।

বাইকের ফিচারগুলো হলো

  • Engine Type 4-Stroke
  • 2-Valve
  • Twin Spark BSVI Compliant DTS-i FI Engine
  • Max Power 14 PS @ 8500 rpm
  • Max Torque 13.25 Nm @ 6500 rpm

প্রতিদিন বাইকটি চালানোর সময় আমার অনুভূতি বোঝানো সম্ভব নয় প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি বাইক চালিয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য আজ পর্যন্ত কোনদিন বাইক চালিয়ে বোরিং ফিল করিনি ।

bajaj-pulsar-150-twin-disc-bike

আমার বাইক কয়েক বার সার্ভিস করিয়েছি বাজাজ এর শোরুম থেকে এখন পর্যন্ত যতটা সার্ভিস করিয়েছি সবগুলো অফিসিয়াল বাইকের সাথে ফ্রি সার্ভিস । ২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে ও পরে বাইকের মাইলেজ ৪০-৪৫ পেয়েছি । রেগুলার বাইক ওয়াস বাইকের চেইন লুব সহ অন্যান্য যে কাজগুলো থাকে, সবকিছু রেগুলার করিয়ে থাকি ।

আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম Shell Advance Ax Star 20W40 দাম ৫৫০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটি খুবই ভালো, আমি অনেকদিন থেকে এটা ব্যবহার করছি । বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১১৭ ।

বাইকের পার্টস পরিবর্তন করিনি , আমার বাইকের মডিফিকেশন তেমন একটা ভালো লাগে না । এছাড়াও মধ্যবিত্ত হওয়ার ফলে অনেক কষ্টে বাইক কিনেছি এরপর আর টাকা খরচ করা সম্ভব না । রেগুলার মেনটেনেন্স করতে একটু কষ্ট হয়ে যায় মধ্যবিও বলে কথা ।

Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • ব্রেকিং সিস্টেম ভালো
  • দেখতে সুন্দর
  • টায়ারের গ্রিপ অনেক ভালো
  • লং রাইড করে ভালো লাগে
  • কম্ফোর্ট

Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • কয়েকদিন পরপর চেইন লুজ হয়ে যায়
  • এই বাইক একটু বেশি গরম হয়
  • হেডলাইটের আলো মোটামুটি
  • লং রাইডে বাইকের সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
  • লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে

bajaj-pulsar-150-twin-disc-blue (1)

বাইকটি নিয়ে আমি অনেক ট্যুর দিয়েছি । আমার বাইকটি নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও খেয়াল করলাম ভালই মাইলেজ পেয়েছি ।

সব মিলিয়ে আমার খুব প্রিয় একটি বাইক । যত খারাপ দিক থাকুক না কেন । ওইগুলো আমার চোখে লাগে না । কারণ আমি তাকে ভালোবাসি । ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ নাজমুস সাকিব দিহান
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla