Shares 2

Bajaj Pulsar 150 Twin Disc ১০০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - রাফি

Last updated on 30-Jul-2024 , By Shuvo Bangla

আমার নাম রাফি । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আমি আজ আপনাদের সাথে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

bajaj-pulsar-150-twin-disc

আমার বাসা মৌলভীবাজার কুলাউড়া , আমার জীবনের প্রথম বাইক H Power Star 80 এই বাইকটা দিয়ে জীবনের প্রথম বাইক চালানো শিখেছি । বাইকটা হতে পারে 80cc কিন্তু এই 80cc মধ্যে কি আনন্দ এটা বোঝানো সম্ভব নয় ।

আজ থেকে ৬-৭ বছর আগে বাইক চালানো শিখি । তারপরে আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় । আমি একজন ভ্রমণ প্রেমিক । ভ্রমন করতে খুবই ভালো লাগে আর তা যদি হয় বাইকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ।

বাজাজ এর প্রতি আগে থেকে একটি ভালো লাগা কাজ করে । এছাড়া Pulsar খুব একটা কমন বাইক যার ফলে যে কোন জায়গায় সার্ভিস বা স্পেয়ার পার্টস পাওয়া যায় । এইসব দিক চিন্তা করে আমি বাইকটি নিয়েছি ।

bajaj-pulsar-150-twin-disc-black-red

বাইকটির দাম ২,০৫,৫০০ টাকা এবং বাইকটি আমি মৌলভীবাজার বাজাজ এর শোরুম থেকে কিনেছিলাম । বাইক কিনতে যাওয়ার দিন বাইক কেনার কোন চিন্তা ছিল না । আমি শোরুমে যাই বাইক দেখতে কিন্তু গিয়ে বাইক পছন্দ হয়ে যায় এবং ওই দিন বাইক কিনে নিয়ে আসি।

বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি মুখে বলা বা লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । এটা শুধু একজন বাইকারই বুঝবে । আমার বাইকটি চালানোর পেছনের মূল কারণ ব্যবসার কাজের জন্য এছাড়া পরিবারের বিভিন্ন কাজে এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে ভ্রমণ করার জন্য তবে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ব্যবসার কাজের জন্য ।

Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকের ফিচারগুলো হলো - 

  • Maximum Torque 13.4Nm @ 6000rpm
  • Mileage 42 KMPL
  • Maximum Power 14Ps @ 8000rpm
  • Top Speed 110 KMPH
  • Curb Weight 150 KG

প্রতিদিন বাইকটি চালানোর সময় আমার অনুভূতি বোঝানো সম্ভব নয় প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি বাইক চালিয়ে কাজে যাওয়ার জন্য আজ পর্যন্ত কোনদিন বাইক চালিয়ে বোরিং ফিল করিনি ।

আমার বাইক কয়েক বার সার্ভিস করিয়েছি বাজাজ শোরুম থেকে এখন পর্যন্ত যতটা সার্ভিস করিয়েছি সবগুলো অফিসিয়াল বাইকের সাথে ফ্রি সার্ভিস । ২৫০০ মিটার পূর্বে ও পরে বাইকের মাইলেজ 35-40 পেয়েছি । রেগুলার বাইক ওয়াস বাইকের চেইন লুব সহ অন্যান্য যে কাজগুলো থাকে সবি রেগুলার করিয়ে থাকি ।

bajaj-pulsar-150-twin-disc-back-light

আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম Bajaj DTS-i 20W50 দাম ৬০০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটি খুবই ভালো, আমি অনেকদিন থেকে এটা ব্যবহার করছি । বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১০৯ ।

বাইকের পার্টস পরিবর্তন করিনি , আমার বাইকের মডিফিকেশন তেমন একটা ভালো লাগে না । এছাড়াও মধ্যবিত্ত হওয়ার ফলে অনেক কষ্টে বাইক কিনেছি এরপর আর টাকা খরচ করা সম্ভব না ।

বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • ব্রেকিং ভালো
  • দেখতে মোটামুটি সুন্দর
  • অনেকক্ষণ রাইড করলেও কোন ধরনের প্রবলেম হয় না
  • লং রাইড করে ভালো লাগে
  • কম্ফোর্ট

বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • কয়েকদিন পরপর চেইন লুজ হয়ে যায়
  • এই বাইক একটু বেশি গরম হয়
  • হেডলাইটের আলো মোটামুটি
  • খুব বেশি ভাইভেট করে
  • লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে

বাইকটি নিয়ে আমি অনেক ট্যুর দিয়েছি । আমার বাইকটি নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও খেয়াল করলাম ভালই মাইলেজ পেয়েছি ।

সব মিলিয়ে আমার খুব প্রিয় একটি বাইক । অনেকদিন থেকেই এইটা চালাচ্ছি । এখন পর্যন্ত ১০,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি । দশ হাজার কিলোমিটার চালানোর পরেও তেমন কোন খারাপ দিক আমার কাছে লাগে না । ২ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যে ভালোই বলতে হয় । ধন্যবাদ ।

 

লিখেছেনঃ রাফি
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla