Shares 2
Bajaj Pulsar 150 ১৭,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - আল আমিন
Last updated on 30-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
আমি মোঃআল আমিন । আমি Bajaj Pulsar 150 বাইকটি ব্যবহার করি । আজ আমি আমার বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায় , পড়ালেখা এবং চাকুরীর সুবাদে এখন পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছি । আমি জীবনে প্রথম বাইক চালানো শিখি আমার এলাকার এক বড় ভাই ,বাপ্পি ভাইয়ের আর এক্স ১০০ বাইক দিয়ে। যা সম্ভবত ২০১২ সালের দিকে হবে।
বাইক চালানো শিখেছি আমার ২জন বন্ধু রাজু এবং রবিনের হাত ধরে। ভালোভাবে বাইক চালানো শিখতে সময় লাগে ৯ দিনের মত। তখন থেকে একটু একটু সময় নিয়া চালাতে চালাতে হাত পাকা হয় ।
কিছু দিন পরে হঠাৎ করে আমার বাবাকে বাইক কিনে দেয়ার কথা বলি । পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আমার কাকা মো:কামরুল ইসলাম বাজাজের শোরুম থেকে বাইকটি ক্রয় করে দেয়। বাইকটি ক্রয় করি ১,৮২,০০০ টাকায় যার মধ্যে ১০০০০০ টাকা আমার নিজের উপার্জিত। বাকিটা আমর কাকার সহযোগিতায় যোগাড় হয়।
বাইকটি ভালোলাগার প্রথম কারন স্মার্ট লুক। বাইকটি খুব জনপ্রিয় তখন। বিষয়টি খুব ভালো লাগে আমার। আমি একটা চাকরি করি। সবদিক বিবেচনা করে আমার বন্ধু এবং বড় ভাইদের সাথে কথা বলার পর, বললো বাইকটি খুব ভালো হবে। এই চিন্তা করে আমি আর আমার কাকা বাজাজ শোরুমে চলে গেলাম।
বাইক দিয়ে দেশের সকল সৌন্দর্য্য খুব কাছাকাছি থেকে উপভোগ করা যায়। এবং যেখানে সেখানে যাতায়াত করা যায়। তাই বাইক রাইডিং আমি অনেক ভালবাসি। বাইকটির কালার, লুক, ডিজাইন, এবং পার্ফমেন্স দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই ।
বাইকটি আমি যেদিন কিনতে গিয়েছিলাম সেদিন কি যে আনন্দ লাগছিল আমার। তা আমি কাউকে বলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। আসলে সত্যি বলতে ছোট বেলা থেকেই বাইকের প্রতি অগাধ ভালো লাগা কাজ করত। তাই মূলত বাইক চালাই।
আমার কাছে মনে হয়, এই সেগমেন্টের সেরা একটি বাইক চালাচ্ছি। ৩৫০০ কিলোমিটার এর আগে মাইলেজ পেতাম ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটারের মত প্রতি লিটারে। ৩৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করার পর, প্রতি লিটারে ৪৩ থেকে ৪৫ মাইলেজ পাচ্ছি।
প্রথমে ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করি 20w40 গ্রেড এর শোরুম থেকেই পরিবর্তন করি। এরপর মটুল 20w40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েলটি বাহিরের দোকান থেকে কিনে ব্যবহার করতাম। তার পর অন্য ব্রান্ড এর ইঞ্জিন অয়েল কিছু দিন ব্যবহার করেছি।বর্তমানে রেভনল 10w40 ব্যবহার করি।
সামনের চেইন স্পোকেট ১ বার পরিবর্তন করি। সামনের চাকার হাইড্রোলিক ব্রেক সু সেট পরিবর্তন করি একবার। বল রেসার পরিবর্তন করি একবার। এয়ার ফিল্টার ৪ বার পরিবর্তন করেছি।
বাইকটিতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ফগ লাইট লাগানো প্রয়োজন হয়েছে। বাইকটিতে আমি ১২৬ পর্যন্ত গতি তুলতে পেরেছি। টপ স্পিডে ব্রেকিং, ব্যালেন্সিং খুব ভালো ছিল ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- হেড লাইট আলো কম।
- ব্রেকিং আরো ভালো দরকার ছিল।
- বডি কিট কিছু দূর্বল মনে হয়।
- চাকা বেশ চিকন।
- সাউন্ড নষ্ট হয় দ্রুত ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- লুক অসাধারণ।
- বডি কালার, ডিজাইন অনেক ভালো।
- সিটিং পজিশন খুব ভালো।
- কন্ট্রোলিং অনেক অনেক ভালো।
- মাইলেজে আমি সন্তুষ্ট।
বাইকটি দিয়ে বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করি , বরিশাল ,কুয়াকাটা,ফারিদপুর,মাদারিপুর,রাজবারি, পটুয়াখালি, বান্দরবন, কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনি, মুন্সিগঞ্জ, না:গঞ্জ, গাজীপুর, দোহার,নবাবগঞ্জ,সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন অলি গলি এবং আরো অনেক নাম না জানা জায়গা ভ্রমণ করি ।
বাইকটির বিশেষ আকর্ষণ হলো আমি ১৭,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করার পরও পারফরম্যান্স কমে নি। আমি ঢাকার বাজাজ সেন্টার থেকে সার্ভিস করি।
বাইকটির ব্যপারে আমার অলমোস্ট কোন অভিযোগ নেই। বাইকটির পারফরম্যান্সে আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এই ছিল আমার বাইকের ০২ বছর বয়সে ১৭,০০০ + কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার অভিজ্ঞতা যা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
ধন্যবাদ।
T
Published by Shuvo Bangla