Shares 2

Bajaj Pulsar 150 ১৬,৫০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - জিহাদ

Last updated on 29-Jul-2024 , By Shuvo Bangla

আমি হাদিউল ইসলাম জিহাদ । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করি । আমার বাসা ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলা সদরে । আজকে কিছু কথা বলবো আমার ব্যাবহৃত বাইক সম্পর্কে।

আমি বাইক চালানো শিখি ২০১৩ সালে। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্নের বাইক ছিলো এটি । আমার বাইকটি ক্রয় করি ২১-০৮-২০২১ তারিখে বাজাজ এর শোরুম অর্চি বাজাজ ভালুকা থেকে । যার ক্রয় মূল্য ছিলো ১,৬৯,৯০০। বাইক কেনার জন্য আমার অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে কারণ আমার ব্লাক & রেড কালার টি পছন্দের ছিলো কিন্তু তখন বাইকটি স্টক আউট ছিলো ।

আমাদের জেলা & পাশ্ববর্তী জেলায় খোঁজ নিই, তারপর অর্চি বাজাজ ভালুকাতে ১ টি বাইকই তাদের স্টকে ছিলো, বাইক কেনার জন্য বাস দিয়ে ভালুকা গিয়েছি, আসার পথে বাইক চালিয়ে চালিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে শেরপুর পর্যন্ত এসেছি, অনেক ভালো লাগতেছিলো রাইড করতে। আমার বাইকটি বর্তমানে ১৬,৫০০ কিলোমিটার রানিং। আমি আপনাদের সাথে ১৬,৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম এর গল্প শেয়ার করবো।

আমার এই বাইকটি দিয়ে লং রাইডে শেরপুর-ঢাকা-শেরপুর & শেরপুর-রাজশাহী-শেরপুর, শেরপুর-ময়মনসিংহ-শেরপুর রাইড করেছি।বাইকটির পার্ফমেন্সে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার বাইকটির বর্তমান মাইলেজ ৪৫ সিটি রাইড এ, ৪৭~৫০ পাচ্ছি হাইওয়ে রাইড এ ,আমি সবসময় অকটেন ব্যাবহার করে থাকি, ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে লিকুইমলি 20 w 50 গ্রেডের মিনারেল শুরু থেকে ব্যাবহার করেছি।

টপ স্পিড ১১১ উঠিয়েছিলাম। এছাড়া সবসময় ৬৫-৭০ রেঞ্জে চালানো হয়। আমার বাইকটি বাজাজ অথোরাইজড ডিলার 'শেরপুর বাজাজ' থেকে নিয়মিত সার্ভিস করিয়ে থাকি।

বাইক রক্ষনাবেক্ষন - 

  • আমি প্রতি ১৫০০ কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করে থাকি
  • এয়ার ফিল্টার ১০০০ কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করি
  • ২৫০০ কিলোমিটার পরপর নাট বোল্ট এবং ইঞ্জিন সাউন্ড ক্লিয়ারেন্স চেক করি
  • ৪০০ কিলোমিটার পর পর চেইন লুব করে থাকি

এখন পর্যন্ত যা যা পরিবর্তন করেছি -

  • বল রেসার
  • স্পার্ক প্লাগ
  • এয়ার ক্লিনার ফোম
  • চেসিস বুশ
  • ব্রেক প্যাড

Bajaj Pulsar 150 বাইকের ভালো দিক -

  • পাওয়ার যথেষ্ট ভালো
  • ইঞ্জিন যথেষ্ট স্মুথ
    আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে হর্ণ সাউন্ড
  • হ্যান্ডেল বারের সুইচের এলইডি লাইটগুলো খুব সুন্দর
  • ৩ পার্ট হ্যান্ডেলবার এবং বাইকটির ডিজাইন খুব সুন্দর লাগে
  • ফ্রন্ট শক এব্জরবারগুলো যথেষ্ট স্মুথ
  • ইঞ্জিন যথেষ্ট স্ট্রং
  • ব্রেকিং পার্ফমেন্স
  • রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম
  • ফ্যামিলি বাইক

Bajaj Pulsar 150 বাইকের খারাপ দিক -

  • ভাইব্রেশন ইস্যু আছে কিছুটা
  • চেইনের এক্সট্রা নয়েজ
  • বল রেসার দ্রুত নস্ট হয়
  • চেইন স্পোকেট দ্রুত ক্ষয় হয়
  • চেসিস বুশ সমস্যা
  • হেডলাইটের আলো পর্যাপ্ত নয়

বাইক আমার কাছে স্বাধীন বাহণ মনে হয়। বাইক নিয়ে ট্যুর করতে ভালোবাসি, বাইকারদের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে। এটাই ছিলো আমার বাইক এর রাইডিং অভিজ্ঞতা। আপনারা উপরোক্ত সমস্যা মেনে নিতে পারলে বাইকটি ক্রয় করতে পারেন। ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ হাদিউল ইসলাম জিহাদ

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Luyuan EH 01

Luyuan EH 01

Price: 0.00

Luyuan FB 01M

Luyuan FB 01M

Price: 0.00

Luyuan EM 03

Luyuan EM 03

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Salida ZL 9

Salida ZL 9

Price: 0.00

Salida ZL 8

Salida ZL 8

Price: 0.00

Salida ZL 3

Salida ZL 3

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes