Shares 2

Bajaj Platina ES মালিকানা রিভিউ লিখেছেন জাকির হোসেন

Last updated on 09-Jul-2024 , By Saleh Bangla

আমি মো জাকির হোসেন। আমি মিরপুর থাকি,আমি জব করি এবং পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং করে থাকি। আমার রাইড শেয়ারিংও করে থাকি, মুলত বাইক চালাতে আমার অনেক বেশি ভাল লাগে। বর্তমানে আমি যেই মোটরসাইকেলটি রাইড করছি সেটা হচ্ছে Bajaj Platina ES

Bajaj Platina ES ২০০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ

bajaj platina es price in bangladesh

Bajaj Platina ES বাইকটি মাত্র ৪ মাস হবে রাইড করছি । বাইক কিনার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ । যখন আমি নিজের টাকায় বাইকটি কিনতে যাই তখন আমার ভিতর অন্য রকম একটা আনন্দ অনুভূতি কাজ করছিল । এবার বলি কেন আমি এই বাইকটি কিনলাম । এক কথায় বলব যে বাইকের মুল্য, স্টাইলিশ লুকিং এভেইলেবল পার্টস, মাইলেজ এবং প্রশস্ত সিটিং পজিশন । 

তাছাড়া বাইকের লুকিংটা বেশ ভালো । রাইড শেয়ারিং করার জন্য বেস্ট বাইক এটি আমি মনে করি । Bajaj Platina ES বাইকের প্রাইজ ৯৮০০০০ টাকা । এর ইঞ্জিন হচ্ছে ১০২ সিসি । বাইকের এভারেজ মাইলেজ ৮০ কিমি প্রতি লিটার কোম্পানী দাবী করে, কিন্তু আমি পেয়েছি ৬০/৬৫ কিমি প্রতি লিটার । বাইকের ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কারবুরেটর । স্টার্টিং মেথড হচ্ছে কিক ও সেলফ উভয়ই ধরনের সিস্টেম রয়েছে । 

bajaj platina es price in bangladesh 2019

বাইকের কুলিং সিস্টেম হচ্ছে এয়ার কুল টাইপ । এটির টায়ার টাইপ হচ্ছে টিউব টাইপ । এই বাইকের ক্ষেত্রে আমি টপ স্পিড ৯০+ কিমি প্রতি ঘন্টা, তবে এই স্পিড এ বাইকটি অনেক ভাইব্রেশন করে । আমি মনে করি তার কারন হলো বাইকটি অনেক হালকা একটী বাইক । বাইকটির ইঞ্জিন টাইপ হচ্ছে DTSI । এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ পাওয়ার ৮ BHP @৭৫০০ rpm এবং টর্ক ৮.৬ এনএম @ ৫০০০ rpm শক্তি পর্যন্ত ক্ষমতা উৎপন্ন করতে পারে । 

ইঞ্জিনের সাথে ৪ টি গিয়ার যুক্ত করা হয়েছে । বাইকের ফ্রন্ট সাস্পেনশন হচ্ছে হাইড্রলিক টেলিস্কোপিক । বাইকের রেয়ার সাস্পেনশন হচ্ছে হাইড্রলিক শক অবজারভার । বাইকের ফ্রন্ট ব্রেক হচ্ছে ড্রাম ব্রেক ১১০ মিমি এবং বাইকের রেয়ার ব্রেকও ড্রাম ব্রেক ১১০মিমি । বাইকের ফ্রন্ট টায়ার সাইজ হচ্ছে ২.৭৫*১৭ এবং বাইকের রেয়ার টায়ার সাইজ ৩.০০*১৭ । বাইকের ওজন ১০৮ কেজি । ফুয়েল ট্যাংক এ ১১ লিটার ফুয়েল নেয়া যায় । 

bajaj platina es user review

বাইকের ব্যাটারি এর ভোল্ট ১২ এবং হেড লাইট ৩৫ ওয়াট । বাইকের স্পিড মিটার হচ্ছে এনালগ এবং ফুয়েল গজ হচ্ছে এনালগ । বাইকটিতে কোন রকমের RPM মিটার নেই । হ্যান্ডেল টাইপ হচ্ছে পাইপ হ্যান্ডেল । বাইকের মাইলেজ ঢাকার ভিতর পেয়েছি ৬০+ এবং ঢাকার বাইরে হাইওয়েতে এ ৭০+। বাইকের সাস্পেনশন কোয়ালিটি অনেক স্ট্রং। আর তাই বাইকে পিলিয়ন নিয়ে চরায় কোনো রকম পেইন পেতে হয় নাহ । তাছাড়া বাইক এর সিট প্রশস্ত হবার কারনে বাইকে অনায়াসে ৩জন আরোহন করা যায় । 

bajaj platina es rear tire

Bajaj Platina 100 ES বাইকটি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই । তবুও আপনি কেন  এই বাইকটি ক্রয় করবেন সে নিয়ে কিছু কথা লিখছি।

  • Bajaj Platina 100 ES সবচেয়ে বেশি পরিচিত এর মাইলেজ এর কারনে
  • বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এটি মোটরসাইকেল ট্যাক্সি হিসেবে পরিচিত
  • মানুষ এবং মালামাল পরিবহনে বাইকটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং বাইকের কোনো রকম সমস্যা হয় না।
  • সুলভ মুল্যে বাইক এর যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় ।
  • বাইকের ইঞ্জিন শক্তিশালি হবার কারনে ভারি মালামাল বহনেও কোন রকম সমস্যা হয় না ।

বাইকের অসুবিধাঃ বাইকের টায়ার চিকন হবার কারনে অনেক সময় স্লিপ করে এবং লাইটিং AC হবার কারনে আলো খুব একটা ভালো নয়, তাই রাত্রে হাইওয়েতে রাইড করতে গেলে অনেক সমস্যায় এ পরতে হয় । রিভিউটী পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ । 

লিখেছেন জাকির হোসেন      

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Saleh Bangla