Shares 2
Apache RTR 150 ১০ হাজার কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা - মার্কাস শুভ
Last updated on 10-Jul-2024 , By Saleh Bangla
Apache RTR 150 বাইকটি কেনার সময় অনেক কথা শুনেছি। বড় ভাই ,ছোট ভাই অনেকেই অনেক কথা বলেছে তবে নেগেটিভ। এমনকি যারা বাইক ব্যবহার করেন না তারাও অনেক কথাই বলেছিলেন তবে আমার সাথে এই বাইক টি মানানসই ছিলো তাই এই বাইক টি কেনার সিদ্ধান্ত নেই। বাইক ও কিনে ফেললাম তবে প্রধান কথা আমি বাইক চালাতেই পারতাম না। জেদ ছিলো নিজের বাইক কিনে চালানো শিখবো। প্রথম দিন ভয়ে বাইক চালাইনি। পেছনে বসে আনন্দের বাতাস খেলাম। আমার বন্ধু Mahadi Hasan বাইক চালিয়ে বাসায় দিয়ে যায়। এর পরে সবাই বলা শুরু করলো আমি চালাতে পারি না এ জন্য এই বাইক দিয়ে আমি অনেক অঘটন ঘটাবো হ্যান ত্যান মানে প্রথমেই ভয় দেখাইয়া দিলো।
Apache RTR 150 ১০ হাজার কি.মি. চালানোর অভিজ্ঞতা
ভয়টা মনে গভীর ভাবে যত্ন করে রাখলাম কারণ যেকোনো কাজে ভয় থাকা ভালো। তিন দিন সময় লাগলো বাইকটি সোজা ভাবে চালানো শিখতে । এর পর থেকে বাসার সামনে চালাতাম । আমার বাইকের প্রায় ৬০০-৭০০ কিলো আমার বন্ধুর পেছনে বসে কাটিয়েছি। দেখেছি চালানোর ধরন আর কোন পরিস্থতিতে কিভাবে চালাতে হয় মানে বেসিক ধারণা।
<<<Launching Of TVS Apache RTR 160>>>
যখন বুঝতে শুরু করলাম আমি এখন কিছুটা বাইক সোজা চালাতে পারি বাসার সামনের রোডে চালানো শুরু করলাম কারণ ভয় পেয়ে যদি বাসার সামনেই বসে থাকি তাহলে হয়তো চালানো শিখতেই পারবো না। চালাতেই থাকলাম চালাতেই থাকতাম। বাইক চালানোর তিন মাসে প্রথম টুর মিনি কক্সবাজার যাই। এর পর ষষ্ঠ মাসে যাই শ্রীমংগল,সিলেট। এভাবেই চালাচ্ছি বাইক টা যতদিন পারি চালিয়ে যাবো। এর সমস্যা সবাই যা বলেন সে সব নিয়ে একটু কথা বলি।
Apache RTR 150 - ব্রেকিং হ্যা আমিও বলবো ব্রেকিং এ ক্ষানিকটা ঝামেলা আছে তবে এতটাও না। এই বাইক টি রেসিং টাইপের বাইক। এইটা একটা বাইক গাড়ি নয় যে আপনি যেকোনো বস্তু যা আপনার সামনে সেটার অনেক কাছ থেকে ব্রেক করলেও থেমে যাবে। সব সময় আমি ডিসটেন্স রেখে ব্রেক করি।সামনে গাড়ির লাল বাতি দূর থেকে দেখা মাত্রই সাবধানতার সাথে ব্রেক করি। কাছ থেকে বা সমনে থেমে থাকা গাড়ির ১০-১২ হাত বা ২০ হাত দূর থেকে কাংখিত স্থানে ব্রেক করাটা মুসকিল। আর ব্রেক ধরার সময় সামনের আর পেছনের টা সামঞ্জস্যতা রেখে ব্রেক ধরেছি। ফলাফল ভালো পেয়েছি। আর চাকায় জেল ব্যাবহারের পর থেকে ব্রেকিং অনেক ভালো পাচ্ছি।
Apache RTR 150 - কন্ট্রোলিং বাইক ১০০+ স্পীডের পর কাপাপাপি করে। হ্যা ব্যাপার টা সত্য। কি দরকার ১০০+ চালানোর? আর যদি চালাতেই চান তাহলে নিল হয়ে চালাবেন । ইনশাল্লাহ কাপাপাপি করবে না। আর চেষ্টা করবেন টাংকি ফুল রাখার । টাংকি খালি থাকলে সমস্যা একটু বেশী করে এইটা বোঝার পর থেকে সব সময় টাংকি ফুল রাখি । এখন সমস্যাই হয় না আমার টপ স্পীড ১২৭ । আর তোলা যাবে বাট প্রয়োজনবোধ মনে করি না। এতটুকুই। আমি বাইক বিশেষজ্ঞ নই। আমি যতটুকুই বুঝি তাই লেখলাম। আর এই বাইক টা মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক তরুন চালায়। তারা উচ্চ গতিতে চালায় এবং বাইক কে না বুঝেই বাইক কি বলছে তা না বুঝেই উরাধুরা টানে। একটা জিনিস কে বুঝে সেই জিনিস টা কাজে লাগানো উচিত। না বুঝে সেই কাজ করলে রেজাল্ট শূন্যই আসে। পরিশেষে আমার বাইক কে আমি অনেক ভালোবাসি । আমি তার কথা বুঝি। সে কি চায় তাও বুঝি। আমার বাইক আমার বন্ধু তার সে আমার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে।
লিখেছেনঃ মার্কাস শুভ
T
Published by Saleh Bangla