Shares 2
সুজুকি জিক্সার এসএফ ২০,০০০কিমি মালিকানা রিভিউ - রাব্বি
Last updated on 29-Jul-2024 , By Saleh Bangla
যে দিন থেকে আমি বাইক চালানো শিখেছি সেই দিন থেকে আমি আমার বাবার হোন্ডা সিজি ১২৫ চালিয়েছি। গত ৫ বছর ধরে আমি বাজাজ ডিস্কভার ১০০ চালাচ্ছি। এখন আমি অন্য বাইক চালাতে চাচ্ছি যেটাতে আমি রাইড করে শান্তি পাব। যেহেতু আমি একজন ছাত্র তাই ১৫০সিসির মধ্যে দাম ও মানের ক্ষেত্রে ভালো এবং ইঞ্জয়েবল কোন বাইক। যে বাইক গুলো আমার তালিকায় ছিল তা হল এপ্যাচি আরটিআর ১৫০, ইয়ামাহা আর১৫, হোন্ডা সিবিআর১৫০আর, এই তিনটি মধ্যে আমার সব থেকে বেশি ভাল লাগছে ইয়ামাহা আর১৫ কারণ আমি আমার বন্ধুর আর১৫ চালিয়েছি এটার কন্ট্রোল বেশ ভাল। আজ আমি আপনাদের আমার সুজুকি জিক্সার এসএফ মালিকানা রিভিউ লিখছি। যখন আমি আর১৫ কিনতে যাচ্ছিলাম তখনি সুজুকি “সুজুকি জিক্সার এসএফ” লঞ্চ করে কিন্তু ইন্টারনেটে বাইকটার ছবি দেখে আমার খুব একটা পছন্দ হয়নি। একদিন আমি রাস্তায় ব্ল্যাক জিক্সার এসএফ দেখতে পাই এবং সেদিন থেকে এর সর্ম্পকে আমার ধারণা পাল্টে দেয়। কিন্তু যখন আমি এর ফিগারস এবং স্পেফিকেশন দেখি তখন একটু হতাশ হই।
সুজুকি জিক্সার এসএফ রিভিউ
১. সহজে রাইড করা যায় ২. সহজে হ্যান্ডেল করা যায় ৩. মাইলেজ ভালো দেয় ৪. লুকস স্টাইলিশ
>> Click To The Latest Price Of Suzuki Gixxer SF 150 <<
সুজুকি জিক্সার এসএফ সব দিক থেকে আমার রিকোয়ারমেন্টস পূর্ন করে। তাই আমি নিজের জন্য বাইকটি কিনে ফেলি। এখন আমি ব্রেক ইন পিরিওড পার পরে ফেলেছি। তাই এই বাইক নিয়ে রিভিউ দিতে পারব। আমি এই বাইক এর টেস্ট রাইড করি এবং এটি আমার মন জয় করে।
সুজুকি জিক্সার এসএফ রিভিই – স্পেফিকেশন
ডিসপ্লেসমেন্ট | ১৫৪.৯সিসি |
নাম্বার অফ সিলিন্ডার | ১ |
নাম্বার অফ গিয়ারস | ৫ |
ম্যাক্সিমাম পাওয়ার | ১৪.৬ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম |
ম্যাক্সিমাম টর্ক | ১৪ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম |
সিট হাইট | ৭৮০ মি.মি. |
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স | ১৬০মি.মি. |
কার্ব/অয়েট ওয়েট | ১৩৯ কে.জি. |
ফুয়েল ট্যাংক কাপাসিটি | ১২ লিটারস |
টপ স্পিড | ১৩১ কি.মি.পার আওয়ার |
সুজুকি জিক্সার এসএফ রিভিই – ভাল দিক
১.অলরাউন্ডার ওভারঅল রেটিংঃ ৩.৭৫ যদিও বাইকটি একটু নিচু কিন্তু এটি রাইড করে খুব মজা। আর এই বাইক এর সব থেকে মজার বিষয় হল এটির লো এন্ড মিড রেঞ্জ টর্ক। কিছু কিছু সময় আছে যখন বাইকটি ১৮০ ও ২০০ সিসি বাইকেও হার মানাবে। ২. টোটালি স্যাটিসফাইড ওভারঅল রেটিংঃ ৪.৫০ আমি আমার বাইক এ ১২৭ কি.মি. প্রতি ঘন্টায় চালিয়েছি তবুও এর ভাইব্রেশন খুব কম..আর খুব আরামদায়ক। ৩. সেরাদের মধ্যে সেরা আমি প্রায় ১.৭ বছরে ২০০০০ হাজার কি.মি. চালাইছি সুজুকি জিক্সার এসএফ এ আর খুব রাফ ভাবে চালিয়েছি। তবুও যে দিন আমি বের হয়ছি চালানোর জন্য সেদিন ই আমার জন্য খুব রোমাঞ্চকর দিন। ৪. লুকস সুজুকি জিক্সার এসএফ বাইকটা দেখতে খুব সুন্দর এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই এবং এটি খুব সহজে ট্রাফিক কিংবা যে কোন জায়গা থেকে সহজে বের হওয়া যায়। এর সামনের দিকটা অনেকটা বেবি হায়াবুসা এবং পাশের দিক দিয়ে জিএসএক্স-আর এর মতন, বাইকটা দেখতে অনেক সুন্দর সব দিক থেকে আর এটির ডিজাইন ও নতুন তাই মানুষেরা এটা নিয়ে খুব আগ্রহী স্পেশিয়ালি যারা মটো জিপি ইন্সপাইরড ওয়ান চালিয়েছে। তারপরে ও যদি হেডল্যাম্প ও বর্ডার গুলো বেশি বড় হত তাহলে বেশি ভাল লাগতো। ৫. মাইলেজ এবার আসি প্রধান বিষয়ে যেটা রাইডারা জিক্সার এসএফ এ খুজে থাকেন। *১ম ২৫১ কি.মি. মাইলেজ ৪৪ কি.মি. প্রতি লিটার *আপ টু ৬০০ কি.মি. মাইলেজ ৪৭ কি.মি. পার লিটার *আফটার ফার্স্ট সারভিস ৫২-৫৫ কি.মি. পার লিটার ৬০০ কি.মি. চালানোর আগে এটির ম্যাক্স আরপিএম ৪৫০০ এবং চালানোর পরে ৭০০০ পর্যন্ত আপ্টু ১৬০০ কি.মি.। তাই এই বাইক এর মাইলেজ নিয়ে কোন চিন্তা নেই খুব সহজে লং রাইড কিংবা ঘুরতে যাওয়া যাবে পকেটের চিন্তা করা ছাড়া। দেখতে যেমনি হক না কেন এটি কার্ব ওয়েট এবং ইঞ্জিন হিটিং এর সমস্যা দেখা যাবে কারন এটি এয়ার কুল্ড বাইক।
>> Suzuki Gixxer SF MotoGP Edition In Bangladesh <<
সুজুকি জিক্সার এসএফ রিভিউ - খারাপ দিক
১.গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সঃ- ১৬০মি.মি. , কিন্তু সাস্পেনশন নিচের দিকে হওয়ায় মাঝে মাঝে স্পিড ব্রেকার এ লাগে। কিন্তু একজন রাইডার এই সমস্যাটি কিছুটা প্র্যাকটিস ও পিছনের টায়ার এ সামান্য এয়ার প্রেসার দিলে দূর করা যাবে। ২.বিল্ড কোয়ালিটিঃ- আমার বাইক এর বল রেস এর সেট ৬০০০কি.মি. না যেতে নষ্ট হয়ে যায়। এটা সচারচর সমস্যা না। কিন্তু আমার সময় এর কিছু বাইকে এই সমস্যা দেখা যায়। ৩.কম হেডলাইট ক্ষমতাঃ-যেই হেডলাইট দেওয়া থাকে সেটা পরিবর্তন করে এলইডি লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়। ৪.কম হর্ণ শব্দঃ- ঢাকার ট্রাফিক এর মত জায়গায় এর হর্ণ এর শব্দ খুব ভাল শোনা যায় না। ৫. পাস্লিটিক এর কোয়ালিটিঃ- প্লাস্টিকের কোয়ালিটি খুব ভাল পুরা বডিতে শুধু মাত্র গিয়ার ইন্ডিকেটর বাদে।
সুজুকি জিক্সার এসএফ রিভিউ - সার কথা
সবশেষে বলব যে, ৩ লাখের কম অনু্যায় বাইকটা আসলে অসাধারণ ও যে চালাবে সেও খুব মজা পাবে। বর্তমানের বাজারে এমন কম দামে এত কিছু পাওয়া যাবে এমন বাইক খুব কম আছে। এখন প্রশ্ন হল যে কেন ১০-১২ হাজার টাকা বেশি দিয়ে রেগুলার জিক্সার বাদ দিয়ে এটা নেব এবং আমার উত্তর হল-
- ফেয়ারিং এর কারনে খুব সহজ এ আপনি খুব দ্রুত গতিতে ও বাতাসের ধাক্কা সামলাতে পারবেন।
- ফেয়ারিং কারনে আপনি আরো দ্রুত স্পিড তুলতে পারবেন।
- ফেয়ারিং এর কারনে নিচের দিকের চাপ বেশি থাকে।
- ফেয়ারিং এর কারনে সামনের দিকে বেশি ওজন দেওয়া হয়েছে যেটি কর্নারিং করতে সাহায্য করে।
অতএব সুজুকি জিক্সার এসএফ সর্ম্পকে এই হল আমার রিভিউ। ইংরেজিতে পড়তে এখানে ক্লিক করুন>>> লিখেছেন- মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বি
T
Published by Saleh Bangla