Shares 2
১২৫ সিসি বাইকের মালিকানা বদলি ফি - কি কি কাগজ লাগে ? BRTA
Last updated on 18-Nov-2023 , By Ashik Mahmud Bangla
বর্তমান সময়ে অনেকেই নতুন বাইকের পরিবর্তে সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনছেন , আর সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনলে সেটার মালিকানা অবশ্যই চেঞ্জ করতে হয়। মালিকানা বদলি ফি নিয়ে অনেকেরই জানার ইচ্ছা থাকে আবার সঠিক ফি না জানা থাকার ফলে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি আমি আমার ১২৫ সিসির বাইক বিক্রি করেছি এবং নিজে BRTA তে থেকে মালিকানা বদলিও করিয়ে দিয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে মালিকানা বদলি ফি , মালিকানা বদলি করতে কি কি কাগজ লাগে , মালিকানা বদলি না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১২৫ সিসি বাইকের মালিকানা বদলি ফি
বর্তমানে ১২৫ সিসি বাইকের মালিকানা বদলি ফি ২৯৬৪ টাকা। Ownership ১৬৬৮ টাকা , Digital Registration Certificate ৫৫৫ টাকা , Issue Of Duplicate Registration Certificate ৩৪৫ টাকা , SUPPLEMENTARY DUTY ৩৯৬ টাকা সর্বমোট ২৯৬৪ টাকা। আপনি যদি নিজে সময় নিয়ে কাজটা করান তাহলে আপনি খুব অল্প টাকায় মালিকানা বদলির কাজ শেষ করতে পারবেন। অনেকেই আছেন যারা দালালের সাহায্য নেন , কিন্তু ঢাকায় দেখা যায় আপনার সময় এবং টাকা দুইটায় নষ্ট হয় দালালের চক্রে পরার পর। অনেকেই হয়তো দালাল দিয়ে ১২৫ সিসি বাইকের মালিকানা বদলি করিয়েছেন , আপনার কত টাকা খরচ হয়েছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
মালিকানা বদলি করতে কি কি কাগজ লাগে ?
১- মালিকানা বদলি করতে মালিকানা বদলি ফাইল লাগে , যেই ফাইলে অনেকগুলো ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা থাকে। আর ফাইলটা পূরণ করে আপনাকে BRTA তে জমা দিতে হবে। এই ফাইলটা কিনতে আমার খরচ হয়েছিলো ৫৫০ টাকা।
২- যিনি বিক্রেতা এবং যিনি ক্রেতা উভয়েরই ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি লাগবে।
৩- যিনি বাইক কিনবেন তার পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে। অর্থাৎ ক্রেতা যেই এলাকায় বসবাস করেন ওই এলাকার থানা থেকে তার ভেরিফিকেশন এবং ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। আপনি যদি লিগ্যালভাবে কাজ করেন তাহলে আপনার এটা লাগবে।
৪- ফাইল জমা দেয়ার আগে ক্রেতা বিক্রেতার ফাইল হাতে একটি স্পষ্ট ছবি তুলতে হবে এবং সেটা ফাইলের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে না হলে কিন্তু ফাইল ব্যাক আসবে।
মালিকানা বদলির ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন এসেছে
১- আগে ফাইলে বিক্রেতার সাইন থাকলেই হতো , কিন্তু বর্তমান সময়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই উপস্থিত থাকতে হয় BRTA তে।
২- বাইকের যদি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট না থাকে সেক্ষেত্রে যিনি প্রথম মালিক তার ফিংগার দিয়ে , ডিজিটাল নাম্বার প্লেট সংগ্রহ করার পর মালিকানা বদলি করতে হবে। যদি বায়োমেট্রিক দেয়া না থাকে সেক্ষেত্রে মালিকানা বদলি হবে না। দালালের কথায় কেউ বেশি টাকা দিয়ে এই ফাঁদে পা দিবেন না , কারন পরবর্তিতে দালাল আপনার টাকাও নিবে কাজটাও করতে পারবে না।
৩- ঢাকায় পুলিশ ভেরিফিকেশন এখন বাধ্যতামূলক , তাই এটা ছাড়াও মালিকানা বদলি করা সম্ভব না।
মালিকানা বদলির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
ফাইল রেডি করে নোটারি করা শেষ হলে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে মালিকানা বদলি ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার পর আপনি আপনার বাইকটি নিয়ে লাইনে দাড়াবেন , লাইনে দাড়ালে আপনার বাইক চেক করা হবে। বাইক চেক করা শেষে আপনার ফাইলে একটি সাইন করে দেয়া হবে , পরবর্তিতে এই ফাইল জমা দিয়ে আপনি মালিকানা বদলি স্লিপ নিতে পারেন। মালিকানা বদলি স্লিপ পাওয়ার পর সেটার উপর একটা সিল এবং সাইন নিতে হয়, সেটা নিতে ভুলবেন না। আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আপনার পরিচিত অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
মালিকানা বদলি না করলে যে সমস্যা হতে পারে
আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি , এই ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে আপনি কতটা সমস্যায় পরতে পারেন সেটা আপনার চিন্তার বাইরে। এই বাইক দিয়ে যদি কোন প্রকার অঘটন ঘটে সেক্ষেত্রে সব দায় আপনার উপরে আসবে। কারন বাইকের মালিক যিনি ওই বাইক দিয়ে কোন অপরাধ হলে সেটার দায়ভার ও মালিকের। তাই সাবধান থাকুন এবং অন্যকেও সতর্ক করে দিন।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই , দালাল , টাউট লোক থেকে সাবধান থাকুন এবং নিজে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ।
T
Published by Ashik Mahmud Bangla