Shares 2

বাজাজ পালসার এনএস চিকন চাকা হওয়ার পরও চাকা স্কীড করেনি

Last updated on 08-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla

আমি টিপু সুলতান । গত ১৯.০৭.২০১৮ ইং তারিখে আমি বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ বাইকটি কিনি । অনেকটা তাড়াহুড়ার মধ্যেই কেনা হয় বাইকটি । পছন্দের তালিকায় ছিল হিরো হাংক এবং হোন্ডা সিবি হর্নেট । 

আম্মাকে নিয়ে চলে যাই বাংলামটর । হাংক হরনেট কোনটাই আম্মার পছন্দ হইল না । পছন্দ করল এনএস । ঠিক করলাম এনএস ই কিনব । কিন্তু বিপাকে পড়লাম সময় নিয়ে । সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল ।

বাজাজ পালসার এনএস চিকন চাকা হওয়ায় সমস্যা

bajaj pulsar ns 160 user review

বাজাজের শোরুম বন্ধ হবার সময় । শোরুমে গিয়ে বললাম Fossil Grey রংয়ের বাইকটি কিনতে আগ্রহী । কিন্তু তারা বলল ঐদিন আর বাইক ডেলিভারি দেয়া সম্ভব না । একজন সেলসম্যান আমাকে তেজগাঁও থানা সংলগ্ন এস কে ট্রেডার্স এর ঠিকানা ও নাম্বার দিয়ে বলল সেখানে গেলে পাবেন বাইকটিতে পেতে পারেন এবং ডিসকাউন্টও পাবেন । চলে গেলাম সেখানে।

বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ টেস্ট রাইড রিভিউ

বাইক ছাড়া চলাচল করা যে কতটা কষ্টকর বাংলামটর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত গিয়েই বুঝেছি । সেখানে গিয়েই পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত এনএস । তারপর থেকে আজ অবধি ১০,৬৩৯ কিমি রাইড করেছি । এখন আসি মূল ঘটনায় । 

বাজাজ পালসার এনএস ১৬০

ইঞ্জিনঃ ভালই পাওয়ারফুল এবং স্মুথ । পাহাড়ে অনেকবার গিয়েছি। কখনও বেগ পেতে হয়নি। ব্রেকিংঃ যেহেতু আগে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই ব্রেকিং আমি একটু স্মার্ট ভাবেই করি। রেগুলার ব্রেকিং এর সাথে ইঞ্জিন ব্রেকিংও ব্যবহার করি। চিকন চাকা হবার স্বত্বেও কখনও স্কীড করেনি । লুকঃ আম্মার পছন্দ । খারাপ হতে পারে না । মাইলেজঃ সর্বোচ্চ ৪৬ কিমি/প্রতি লিটার এবং সর্বনিম্ন ৩৩ কিমি/প্রতি লিটার পেয়েছি । এটা সম্পূর্ণই রাইডিং এর উপর ডিপেন্ড করে ।

bajaj pulsar ns price in bangladesh 2019

ইঞ্জিন সাউন্ডঃ ইঞ্জিন গরম হলে সাউন্ড একটু কেমন যেন হয়ে যায় । ঠান্ডা হলে আবার আগের মত হয়ে যায়। সিটিং পজিশনঃ একটানা ১০৮ কিমি চালিয়েছি কোন ব্রেক ছাড়া এবং অনেক লং ট্যুর দিয়েছি। কোন প্রকার ব্যাথা অনুভব হয়নি। তবে পিলিয়ন নিয়ে চালাতে একটু সমস্যা হয় আমার। খুব সম্ভবত এটা আমার রাইডিং স্কীল সমস্যা। অন্যদেরও হয় কিনা জানিনা।

Also Read: বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ এর  দাম

কর্নারিংঃ ভালই কর্নারিং করা যায় । কখনও অনিরাপদ মনে হয়নি । বাকীটা আমার ট্যুর পার্টনাররা ভাল বলতে পারবেন আমি কি রকম কর্নারিং করেছি । সাসপেনশনঃ প্রথম প্রথম একটু হার্ড মনে হলেও এখন একদম স্মুথ সাসপেনশন। 

bajaj pulsar ns speedometer

হেডলাইটঃ সুন্দর আলো। হাই/লো বীমে ভালই আলো হয় রাতে । কোন প্রকার অতিরিক্ত লাইট লাগানোর প্রয়োজনবোধ করিনি । এই ১০,৬৩৯ কিমি রাইড এ এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করেছি ১ বার, পেছনের ব্রেক শু পরিবর্তন করেছি ১ বার, ইঞ্জিন ওয়েল ফিল্টার প্রতিবার ইঞ্জিন ওয়েল দেয়ার সময় পরিবর্তন করেছি। সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে ১২০০ মিলি ইঞ্জিন ওয়েল লোড করতে হয়, ব্যাটারি শুরু থেকেই দূর্বল, এবং ইঞ্জিন গরম হলে সাউন্ড খারাপ হয়ে যায়।

bajaj pulsar ns 160 review

রিভিউটি একান্তই আমার মতামত । উপস্থাপনায় কোন ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ এত কষ্ট করে পড়ার জন্য ।  

লিখেছেনঃ টিপু সুলতান

    আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। 

মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Ashik Mahmud Bangla